রাজধানীতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের অনলাইনের মাধ্যমে যৌন ব্যবসা পরিচালনা করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বুধবার রাজধানীর গুলশান, উত্তরা ও রামপুরা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন কাজী কাদের নেওয়াজ ওরফে পাশা ভাই ওরফে আরিয়ান (২৬), সিয়াম সাবের রাহাত ওরফে শান আহমেদ (২২), শান্ত আহমেদ ওরফে সিফাত আহমেদ (২২) ও ওমাসুম বিল্লাহ ওরফে শ্যামল (২৮)।
র্যাব জানায়, ডিজিটাল দেহব্যবসার অন্যতম নাম এসকর্ট সার্ভিস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় খুব সহজেই মানুষ অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হচ্ছেন এবং তার পাশাপাশি প্রতারিত হচ্ছেন অনেকেই। এসব অবৈধ ব্যবসায়ীর হাত ধরেই অনলাইন দেহ ব্যবসা ব্যাপক বিস্তার লাভ করছে। এই চক্র অনলাইনে কাস্টমারদের কাছ থেকে অর্ডার নিতেন, মেয়েদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেন এবং জায়গার ব্যবস্থা করে দিতেন। মেয়েদের বেশিরভাগই কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
আজ বিকেলে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৩-এর সহকারী পরিচালক (সহকারী পুলিশ সুপার) ফারজানা হক। তিনি জানান, সম্প্রতি র্যাব-৩-এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কয়েকজন প্রতারক এবং কুরুচিপূর্ণ ব্যক্তি অনলাইনে এসকর্ট সার্ভিস নামে অপকর্ম পরিচালনা করছে। এর পাশাপাশি মোবাইল ও মেমোরি কার্ডে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সংরক্ষিত রাখে তারা। পরে সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেনামী আইডি খুলে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে অশ্লীল কথাবার্তা বিনিময়, কুরুচিপূর্ণ ছবি ও ভিডিও আদান-প্রদানের মাধ্যমে যুব সমাজকে আকৃষ্ট করে তাদের নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এমন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ঢাকা মহানগরীর গুলশান, উত্তরা ও রামপুরা থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে পর্নোগ্রাফি চক্রের চার সদস্যদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এই চক্রের সদস্যদের নিকট কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন, চারটি সিমকার্ড এবং ৯৮ পাতা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের স্ক্রিনশট উদ্ধার করা হয়।
আসামিদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার চারজন দীর্ঘদিন ধরে ওয়েবসাইট কিংবা সিক্রেট ফেসবুক পেজ খুলে রাজধানীতে অনলাইন এসকর্ট সার্ভিস নামের অপকর্ম পরিচালনা করে আসছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।