বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে গত একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৫ জন ও উপসর্গে ৩ জনসহ মোট ১৮ জন মারা গেছেন। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন।
গত একদিনে জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১৭৬ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ৯৭ জন, দৌলতপুরের ১৮ জন, কুমারখালীর ১৭ জন, ভেড়ামারার ৩৭ জন, মিরপুরের তিনজন ও খোকসার চারজন রয়েছেন।
এখন পর্যন্ত জেলায় ৭০ হাজার ২০৯ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬৭ হাজার ২৮৩ জনের। মোট শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৬১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৯ জন। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৭১ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৮ জন ও হোম আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ১০৩ জন।
ডা. এম এ মোমেন বলেন, ২৫০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালটিতে এখন শয্যার চেয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৪২২ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ২৯২ জন। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৩০ জন। এখন পর্যন্ত চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট নেই। তবে শয্যা, নার্স, আয়া ও সুইপারের অভাব রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালটিকে ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণার পর থেকে রোগীর চাপ বাড়তেই আছে। প্রয়োজনের তুলনায় লোকবল কম। এ জন্য চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাই চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও রোগীর চাপ বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যাবে।