মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে শূন্যপাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। সে অনুযায়ী অধিদপ্তর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তিন দফা শোকজ করা হবে। সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবে মাউশি ও মাদরাসা অধিদপ্তর।
মাদরাসা অধিদপ্তর ও মাউশি সূত্রে জানা গেছে, এমপিও নীতিমালা অনুসারে- মফস্বল শহরের দাখিল মাদরাসার ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত হতে ১৮ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ও ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর মফস্বল এলাকার মাধ্যমিক স্কুলের ক্ষেত্রে ২৫ জন পরীক্ষার্থী ও ৫৫ শতাংশ পাসের হার বাধ্যতামূলক।
প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যতা বাজায় রাখতে না পারলে প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিও স্থগিত হবে। সে অনুযায়ী শূন্যপাস করা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিও স্থগিত বা শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা স্থগিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুই অধিদপ্তর।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. জাকির হোসাইন বলেন, দাখিলে শূন্যপাস প্রতিষ্ঠানের সবগুলো এমপিওভুক্ত। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিও কেন বন্ধ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে তাদের শোকজ করা হবে। জবাব পেলে এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন, শূন্যপাস করা প্রতিষ্ঠানের তথ্য সারাদেশ থেকে সংগ্রহ শুরু করেছি। সব প্রতিষ্ঠানের তথ্য পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
গত ২৮ জুলাই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪৮ প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি। আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে শূন্যপাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫০টি। অন্যদিকে এ বছর ২ হাজার ৩৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। ২০২২ সালে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৭৫টি।