প্রথমার্ধের ১৭ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এরিলিন তিচুয়ামেনি। তার করা এই গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় ফ্রান্স। বিরতির পর সেই লিড তারা বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি। গোল পরিশোধ করে খেলায় ফিরে আসে ইংলিশরা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে দলপতি হ্যারি কেইনের গোলে ১-১এ সমতায় ফিরে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের একটি আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে ফরাসি ডিফেন্ডার অবৈধ টেকল করলে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। আর তাতে কিক নিয়ে গোল করেন হ্যারি কেইন। খেলার ৮৩ মিনিটে আবারো একটা সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে ইংলিশরা। কারণ এসময় পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে ব্যার্থ হন হ্যারি কেইন।
আজ নিজেদের সেরা একাদশ নিয়েই মাঠে নামে দই দল। কারণ হারলেই যে বিদায় নিতে হবে বিশ্বকাপ থেকে। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় আল বাইত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপের শেষ কোয়ার্টার ফাইনালটি।
এ ম্যাচকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তার দিকে নজর দিয়েছে কাতার। ইউরোপ সমর্থকদের সম্পর্কে ভালো করেই জানেন তারা।
ফ্রান্স-ইংল্যান্ড লড়াই নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে থাকে ভিন্ন রকমের উত্তেজনা। এই উত্তেজনা ফুটবলারদের মধ্যেও যে ভিতরে ভিতরে আছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে বাইরে তা প্রকাশ পায় না।
ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী কোচ দিদিয়ের দেশম যেমন মৃদু হেসে বললেন, প্রতিপক্ষ যেই হোক, আমরা নিজেদের খেলাটাই খেলব। ফ্রান্স নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে যে কোনো প্রতিপক্ষই কাত হয়ে যেতে পারে।
ওইদিকে ইংলিশ কোচ সাউথগেট বলছেন, প্রতিপক্ষের খেলা সম্পর্কে আমরা জানি। তাদের শক্তি ও দুর্বলতাও আমাদের জানা আছে। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই খেলতে নামব আমরা।’ সেই পরিকল্পনায় ফ্রান্সকে বিদায় করব নিশ্চয়ই!