1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ নিয়ে আবেগ-অনুভূতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে: মন্তব্য মিঠুনের চিকিৎসার জন্য ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি কুমিল্লা জেলা সমিতি চট্টগ্রাম’র ২০২৫-২০২৭ কমিটি গঠন জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তবর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক *বসুন্ধরা ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে প্রশিক্ষণ, সনদ পেলেন ৪০ জন* পটুয়াখালী জেলায় বহুল কাঙ্খিত গলাচিপা সেতুটি হলে কমবে পথ, বাঁচবে সময় ঠাকুরগাঁওয়ের খুদে শিক্ষার্থীদের বিস্ময়কর প্রতিভ আগামীকাল হাসান আরিফের দাফন বড়দিন ও থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে রাজস্থলীতে প্রশাসনের বিশেষ সভা।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪
  • ১০১ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পদযাত্রা নিয়ে শাহবাগ গিয়ে অবরোধ করেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। চার দফা দাবিতে প্রায় এক ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ থাকায় আশপাশের সব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় গ্রন্থাগার থেকে পদযাত্রা শুরু করে নিউমার্কেট ঘুরে শাহবাগ এসে অবস্থান নেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, কোটার মাধ্যমে বৈষম্য এবারই প্রথম নয়। ১৯৮৭ সালে বলা হয়েছিল কোটা ধীরে ধীরে উঠে যাবে কিন্তু ১৯৯৭ সালেও আমরা দেখেছি কোটায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জায়গায় নাতি নাতনিকেও যুক্ত করা হয়েছে। কোটার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় জঘন্য বৈষম্য আমরা দেখেছি। এমনও হয়েছে বিসিএস পরীক্ষায় ২০০তম হয়েও কেউ ক্যাডার পায়নি অথচ ৫০০০তম হয়ে কোটায় এডমিন ক্যাডার পেয়ে গেছে। কোটাধারী না থাকলে আসনগুলো শূন্য থেকেছে তবুও সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্থান পায়নি। এ ধরনের ভয়ানক বৈষম্যের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের পরিপত্রটি পুনর্বহাল করতে হবে এটিই আমাদের এক দফা দাবি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ বলেন, যারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে এদেশ স্বাধীন করলো সেই দেশেই তাদের সন্তানদের কাছেই বৈষম্যের শিকার আমরা। এই বৈষম্য আমরা কোনোভাবেই মেনে নিবো না। ২০১৮ সালের পরিপত্রটি পুনর্বহাল করেই এই আন্দোলন থামবে।

পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ৫ জুন সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন উচ্চ আদালত। ওই দিন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামেন। এ অবস্থায় আদালতের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য ৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করা হয়।

সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, তাদের দাবি মূলত তিনটি ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সব গ্রেডে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পুনর্বণ্টন বা সংস্কার; চাকরির পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করা ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।

২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। সে সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনে ছাত্রলীগসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার অভিযোগ করেন।

ওই বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট করেন।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের উদ্যোগে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল আন্দোলন’ ব্যানারে আগামী বুধবার মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই দিন বেলা তিনটায় রাজধানীর শাহবাগে এই কর্মসূচি পালিত হবে।

এই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবার হত্যাকাণ্ডের পর থেকে দীর্ঘ ২১ বছর মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাস্তবায়ন হয়নি। সেই ক্ষতি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com