বুধবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৬ষ্ঠ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তি দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অতীতে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। আর যাতে কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিতে না পারে সে বিষয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, কক্সবাজার বা অন্য এলাকায় রয়েছে তারা মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত। সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য চারদিকে ওয়াল নির্মাণের কাজ আগামী দুই মাসের মধ্যে শেষ হবে। সিসি ক্যামেরা বাড়ানো হবে। অবৈধ কর্মকাণ্ড যাতে বন্ধ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দিয়েছি। এরা যৌথভাবে বিষয়টি দেখবেন। ক্যাম্প ছাড়া দেশের কোথাও যদি কোনো রোহিঙ্গা পাওয়া যায় তবে তাকে ধরে ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে তাদের ভাসানচরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি ও সশরীরে ছিলেন।