1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে – আমিনুল হক বান্দরবানে ১৩টি জনগোষ্ঠীকে নিয়ে বিএনপির বিশাল সমাবেশে জনস্রোত বাংলাদেশি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে আমি গর্ববোধ করি– পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বিএনপি এমন একটা ভালো নির্বাচন চায়, যা গত ১৭ বছর হয়নি – ঠাকুরগাঁওয়ে শামসুজ্জামান দুদু বান্দরবান লামা উপজেলায় মডেল মসজিদের শুভ উদ্বোধন বীরগঞ্জে স্বচ্ছ নিয়োগ এর মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ আগামী মঙ্গলবারই সরকারে শেষ দিন নাহিদের ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন, ফিলিস্তিনিদের মুক্তি আটকে দিলেন নেতানিয়াহু মৌলিক চাহিদার অন্যতম আবাসন খাতে স্থবিরতা চরমে গাজায় ধ্বংসস্তূপে অনবরত মিলছে লাশ, বেড়েই চলেছে নিহতের সংখ্যা

কোরবানি সম্পর্কে যেসব মাসায়েল জানা জরুরি

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২
  • ২০৬ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য অনেক টাকা-পয়সা থাকা জরুরি নয়। ঈদুল আযহার দিনগুলোতে যার কাছে যাকাত ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ অর্থ/সম্পদ থাকে তার উপরই কোরবানি ওয়াজিব।

এ হিসেবে কারও কাছে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্য পরিমাণ টাকা-পয়সা থাকলেও তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যায়। এরকম জরুরি বিষয়গুলো আমাদের জানা প্রয়োজন যাতে কোরবানি সহিহ শুদ্ধ করা যায়।

এবার কোরবানি সম্পর্কে জরুরি মাসায়েল জেনে নেবো মাওলানা মুহাম্মাদ হেমায়েত উদ্দীনের কাছ থেকে :

* ১০ জিলহজের ফজর থেকে ১২ জিলহজের সন্ধ্যা পর্যন্ত অর্থাৎ কোরবানির দিনগুলোতে যার নিকট সদকায়ে ফিতর/ফিতরা ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ অর্থ/সম্পদ থাকে তার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব।

* মুসাফিরের উপর কোরবানি করা ওয়াজিব নয়।

* কোরবানি ওয়াজিব না হলেও নফল কোরবানি করলে কোরবানির ছওয়াব পাওয়া যাবে।

* কোরবানি শুধু নিজের পক্ষ থেকে ওয়াজিব হয়- সন্তানাদি, মাতাপিতা ও স্বামীর পক্ষ থেকে ওয়াজিব হয় না, তবে তাদের পক্ষ থেকে করলে তা নফল কোরবানি হবে।

* যার উপর কোরবানি ওয়াজিব নয় সে কোরবানির নিয়তে পশু ক্রয় করলে সেই পশু কোরবানি করা তার ওপর ওয়াজিব হয়ে যায়।

* কোন মাকসুদের জন্য কোরবানির মান্নাত করলে সেই মাকসুদ পূর্ণ হলে তার উপর (গরীব হোক বা ধনী) কোরবানি করা ওয়াজিব হয়ে যায়।

* যার উপর কোরবানি ওয়াজিব, সে কোরবানি না করলে কোরবানির দিনগুলো চলে যাওয়ার পর একটা বকরীর মূল্য সদকা করা ওয়াজিব।

* বকরী, পাঠা, খাসী, ভেড়া, তেড়ী, দুম্বা, গাভী, ষাঁড়, বলদ, মহিষ, উট এই কয় প্রকার গৃহপালিত জন্তু দ্বারা কোরবানি করা দোরস্ত।

* বকরী, খাসী, ভেড়া, ভেড়ী, দুম্বা কমপক্ষে পূর্ণ এক বছর বয়সের হতে হবে। বয়স যদি একবছর থেকে কিছু কমও হয়, কিন্তু এরূপ মোটাতাজা যে, একবছর বয়সীদের মধ্যে ছেড়ে দিলেও তাদের চেয়ে ছোট মনে হয় না, তাহলে তার কোরবানি দোরস্ত আছে, তবে অন্তত ছয় মাস বয়স হতে হবে। তবে বকরী কোন অবস্থায় এক বছরের কম বয়সের হতে পারবে না।

* গরু ও মহিষের বয়স কমপক্ষে দুই বছর হতে হবে।

* উটের বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর হতে হবে।

* কোরবানির পশু ভাল এবং হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম।

* যে প্রাণী লেংড়া অর্থাৎ যা তিন পায়ে চলতে পারে, এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা রাখতে পারলেও তার ওপর ভর করতে পারে না এরকম পশু দ্বারা কোরবানি জায়েয নয়।

* যে পশুর একটিও দাঁত নেই তা দ্বারা কোরবানি দুরস্ত নয়।

* যে পশুর কান জন্ম থেকেই নেই, তা দ্বারা কোরবানি দোরস্ত নয়। তবে কান ছোট হলে অসুবিধা নেই।

* যে পশুর শিং মূল থেকে ভেঙ্গে যায় তা দ্বারা কোরবানি দোরস্ত নয়। তবে শিং ওঠেনি বা কিছু পরিমাণ ভেঙ্গে গিয়েছে এরূপ পশুর কোরবানি দোরস্ত আছে।

* যে পশুর উভয় চোখ অন্ধ বা একটি চোখ পূর্ণ অন্ধ বা একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি এক তৃতীয়াংশ বা তার বেশি নষ্ট, তা দ্বারা কোরবানি দোরস্ত নয়।

* যে পশুর একটি কান বা লেজের এক-তৃতীয়াংশ কিংবা তারচেয়ে বেশি কেটে গেছে তা দ্বারা কোরবানি দোরস্ত নয়।

* অতিশয় কৃশকায় ও দুর্বল পশু যার এতটুকু শক্তি নেই যে, জবেহের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে, তা দ্বারা কোরবানি দোরস্ত নয়।

* ভাল পশু ক্রয় করার পর এমন দোষ-ত্রুটি দেখা দিয়েছে যার কারণে কোরবানি দোরস্ত হয় না, এরূপ হলে ওই জন্তুটি রেখে আর একটি ক্রয় করে কোরবানি করতে হবে। তবে ক্রেতা গরীব হলে সেটিই কোরবানি দিতে পারবে।

* গর্ভবতী পশু কোরবানি করা জায়েয। যদি পেটের বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায় তবে সে বাচ্চাও জবেহ করে দিবে। তবে প্রসবের নিকটবর্তী হলে সেরূপ গর্ভবতী পশু কোরবানি দেয়া মাকরূহ।

* বন্ধা পশু কোরবানি করা জায়েয।

* বকরী, খাসী, পাঠা, ভেড়া-ভেড়ী ও দুম্বায় একজনের বেশি শরীক হয়ে কোরবানি করা যায় না। এগুলো একটা একজনের পশু থেকেই কোরবানি হতে পারে।

* একটা গরু, মহিষ ও উটে সর্বোচ্চ সাতজন শরীক হতে পারে। সাতজন হওয়া জরুরি নয়, দু’জন বা তিনজন বা চারজন বা পাঁচজন বা ছয়জন কোরবানি দিতে পারে, তবে কারও অংশ সাত ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম হতে পারবে না।

* মৃতের নামেও কোরবানি হতে পারে।

* রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর বিবিগণ ও বুযুর্গদের নামেও কোরবানি হতে পারে।

* যে ব্যক্তি খাঁটি অন্তরে আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানি করে না বরং গোশত খাওয়া বা লোক দেখানো ইত্যাদি নিয়তে কোরবানি করে, তাকে অংশীদার বানিয়ে কোন পশু কোরবানি করলে সকল অংশীদারের কোরবানিই নষ্ট হয়ে যায়। তাই শরীক নির্বাচনের সময় খুবই সতর্ক থাকা দরকার। একজনের কারণে যেন সকলের কোরবানি নষ্ট হয়ে না যায়।

* যার সমস্ত উপার্জন বা অধিকাংশ উপার্জন হারাম, তাকে শরীক করে কোরবানি করলে অন্যান্য সকল শরীকের কোরবানি অশুদ্ধ হয়ে যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com