বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ভারত সফরে এসে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। এ সময় ভারতও একই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে পারস্পরিক উদ্বেগের মধ্যে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ক্রমশই উন্নত হচ্ছে। পাশাপাশি রয়েছে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে যৌথ বোঝাপড়া।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্করের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বুধবার ব্লিংকেন বলেন, “বিশ্বে খুব কম এমন সম্পর্ক আছে যা যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্কের মতো এতটা গুরুত্বপূর্ণ।”
এ সময় তারা আফগানিস্তানে রাজনৈতিক নিস্পত্তির ওপর জোর দেন।
ব্লিংকেন বলেন, তালেবানদের গত সপ্তাহের সহিংসতা খুবই উদ্বেগজনক, যা আফগানিস্তানের প্রতি সদিচ্ছার উদাহরণ নয়। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন,তালেবান যদি জনগণের অধিকারের প্রতি সম্মান না জানায় তাহলে আফগানিস্তান দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে এবং এই সংঘাতের নিস্পত্তির জন্য সব পক্ষকে একত্রিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সব পক্ষের উচিত হবে আলোচনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানের ফলাফল যুদ্ধ ক্ষেত্রে নির্ধারিত হওয়া উচিত নয়।
তারা কোয়াড জোট নিয়েও কথা বলেন। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার এ উদ্যোগকে বেইজিং সরকার চীনকে কাবু করার জন্য একটি সামরিক জোট হিসেবে দেখছে ও এর নিন্দা করেছে।
তবে জয়শঙ্কর বলেন, কয়েকটি দেশের একত্রে কাজ করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। অন্যদেশগুলো যা করছে তা তাদের বিরুদ্ধে যাবে এ ধারণা পরিত্যাগ করতে হবে।
ব্লিংকেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করেন। বৈঠকের পর মোদি বলেন, “ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত সহযোগিতা জোরালো করার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জোরালো প্রতিশ্রুতিকে আমি স্বাগত জানাই যা কি-না আমাদের অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে গ্রথিত রয়েছে এবং তা বিশ্বের কল্যাণের জন্য শক্তিস্বরূপ।”
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাসিত তিব্বত সরকারের প্রতিনিধি নগোদুপ দংচুং-এর সঙ্গেও বৈঠক করেন।