ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন ও পয়লা বৈশাখ থাকায় ভালো ব্যবসা হয়েছে ব্যবসায়ীদের। প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা ছিল সকল দোকান। শেষরাতের দিকে দোকান বন্ধ করে অধিকাংশ ব্যবসায়ী বাসায় ফিরে গেছেন। আর ভোরবেলা পেয়েছেন আগুনের সংবাদ। রাত করে কেউ আর বাসায় টাকা নিয়ে যাননি। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর ক্যাশে বেশ ভালো টাকা রয়ে গিয়েছিল।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ও যুদ্ধের কারণে গত কয়েক বছরে ব্যবসা না হলেও এবছর ঈদে সে ক্ষতি পুষানোর সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসাও বেশ ভালোই হচ্ছিল। প্রায় অধিকাংশ ব্যবসায়ীর ক্যাশে লাখ লাখ টাকা রয়েছে। এবং অনেক টাকার মালামাল রয়েছে।
কাঁদতে কাঁদতে এক ব্যবসায়ী বলেন, ভাই রাত ৩ টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়েছি। আর সকাল ৬ টায় পেলাম আগুনের সংবাদ। আমার ক্যাশে অনেক টাকা ছিল। ভাই আমি শেষ। আমার আর কোন সম্বল বেঁচে নেই।
আরেক ব্যবসায়ী বলছেন, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পরিবার নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছি। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে পরিবার কেমনে চালাব? আর পাওানাদারের টাকাই কীভাবে দিব?
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে ধোঁয়ায় অসুস্থ ৯ ফায়ার কর্মীসহ ১৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।