বৃহস্পতিবার (৬ মে) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
খালেদা জিয়া কারান্তরীণ ছিলেন, এখনও আছেন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই অবস্থায় তার কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়। সেজন্য আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের আকাঙ্ক্ষা বা ইচ্ছা যে তার চিকিৎসাটা পূর্ণাঙ্গ কোনো হাসপাতালে হোক। উন্নত বলতে, বাংলাদেশের উন্নত হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আরো উন্নত বিদেশে কোনো হাসপাতালে তার চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব কি না? এই বিষয়ে গতকাল তার পরিবার থেকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য যে অনুমতি দরকার, তা চাওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি সরকার মানবিক কারণে তার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। দেশের ১৮ কোটি মানুষের সবচেয়ে প্রিয় নেতা সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
এর আগে বুধবার (৫ মে) রাত সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডির নিজ বাসায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে তার পরিবার যে লিখিত আবেদন জানিয়েছে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ডাক্তাররা অভিমত দিয়েছেন তাকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। যদিও আমরা ডাক্তারদের কাছে শুনিনি।