বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে বলে মনে করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী সরকার তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দিয়েছে। তবে এখন তাকে বিদেশ নিতে হলে তাকে আদালতে আসতে হবে বলে আমার মনে হচ্ছে। তার পরও বিষয়টি ভালোভাবে না দেখে এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মঙ্গলবার এই অভিমত দেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি আরো বলেন, ওনার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা কতটুকু প্রয়োজন। বাংলাদেশেই তার চিকিৎসা সম্ভব কি না, বাংলাদেশে কী ব্যবস্থা আছে সব কিছু দেখেই সরকার বিবেচনা করবে।
দুটি দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি ছিলেন খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বিএসএমএমইউ-তে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের আবেদনে তার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে সাময়িক সময়ের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে সরকার শর্ত সাপেক্ষে এই মুক্তির আদেশ দেয়।
এই আদেশে গত বছরের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশান এভিনিউয়ের নিজের বাসভবন ফিরোজায় যান। সেই থেকে তিনি সেখানেই আছেন। এরই মধ্যে তার মুক্তির মেয়াদ আরো বাড়ানো হয়েছে। তবে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।