পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রইছ উদ্দীন এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার এসআই সেকান্দর আলী ও অন্যান্য অফিসার ফোর্সসহ গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের অন্তগর্ত গুয়াগাছিয়া গ্রাম থেকে আজ শনিবার ভোর ৫ঘটিকায় আসামী ১.মামুন(৪৫)পিতা হোসেন(হুসু বেপারী)২.আলেয়া বেগম(৪৫)কে গ্রেফতার করে।আরো জানা যায়,গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য কিশোর মোঃ জান্নাত গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের গুয়াগাছিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মানিক বেপারীর ছেলে। সে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দিনগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার গুয়াগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত জান্নাতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়,মো. জান্নাত একই এলাকার তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে ওই দিন রাত ১২টার দিকে প্রেমিকার বাড়িতে গেলে মো. জান্নাতকে প্রেমিকার পরিবারের লোকজন মারধর করে প্রেমিকার বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে রাখে। পরে জান্নাতের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে এসে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জান্নাতের দাদা ফজর আলী স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, গত তিন মাস যাবত একই এলাকার জান্নাতির সঙ্গে আমার নাতি জান্নাতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের পক্ষ আমার নাতি জান্নাতকে মারধর করে। এর কয়েকদিন পর মেয়ের ভাই সিজান গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইল ফোনে আমার নাতি সিজানকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার নিহতের মা সুমি বেগম বাদী হয়ে গজারিয়া থানার একটি মামলা করেন যার নং ১৫ তাং১১/০৩/২২ইং ধারা-৩০২/৩৪
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রইছ উদ্দিন বলেন,খবর পেয়েই ঘটনারস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার ১২ঘন্টার মধ্যেই দুই আসামী গ্রেফতার করতে সক্ষম হই,আসামীদ্বয় জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে অন্যান্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।