বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক : ফ্যাসিবাদের অন্যতম দোসর খুলনা বিশেষজ্ঞ গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস দুর্নীতি ও অনিয়ম করে শত কোটি টাকা ভারতে পাচার করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, অমিত কুমার বিশ্বাস শেখ হেলালের আস্থাভাজন গোটা গণপূর্ত অধিদপ্তরের খুলনা সিন্ডিকেট হোতা সেজে টেন্ডার বানিজ্য দুর্নীতি ও অনিয়ম করে শত বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক : কোটি মালিক হয়েছেন। অমিত কুমার বিশ্বাস ২৮ ব্যাচের গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিসিএস কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করার প্রথম পোস্টিং পান খুলনায়। চাকরী জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় খুলনার সহকারী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-১ তিন বছরের বেশি সময় চাকরি করেন।
খুলনার আলোচিত শেখ বাড়ির আর্শিবাদ পুষ্ট অমিত কুমার বিশ্বাস শেখ হেলালের ক্যাশিয়ার ভূমিকা পালন করেছেন। ছাত্র ও জনতার আন্দোলন দমাতে নির্বিচারে গুলি চালাতে কয়েক কোটি টাকা খুলনা মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল সুজন কে দিয়েছেন। শেখ শাহাজালাল সুজন ছিল আমিত কুমার বিশ্বাস এর আস্থাভাজন ঠিকাদার খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিশেষ বরাদ্দের সকল সুজন কে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করে দিতেন। ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এপিপির কাজ এলটিএম পদ্ধতির পরিবর্তে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে কোটি কোটি কামিয়েছেন।
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী কে দিঘলিয়া উপজেলা মডেল মসজিদের কাজ পাইয়ে দিয়েছেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার চাচাতো ভাই এর নির্দেশে শেখ বাড়ি খুলনার গণ পরিচিত সেখানে বসে অমিত কুমার বিশ্বাস শত শত কোটি টাকার কাজ ভাগবাটোয়ারা করতেন এমনকি খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর কাজও তিনি ভাগ করে দিতেন। এই চতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দিঘলিয়া উপজেলা টিটিসির নির্মান প্রকল্পের কাজ দাঊদ সাহেব পাইয়ে দেন কারণ তিনি শেখ হেলাল উদ্দিন আস্থাভাজন ও টাকা কামানোর ম্যাশিন তাদের। খুলনা মেডিকেল কলেজ ভিতর কয়েক টি নতুন ভবনের কাজ তিনি তার পছন্দের ঠিকাদারদের পাইয়ে দিয়ে ১০% কমিশন নিতেন যার ৫% কমিশন শেখ হেলাল উদ্দিন কে দিতেন এই ভাবে বছর পর বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের সময় রাজত্ব কায়েম করেছেন। এই অমিত কুমার বিশ্বাস এর ভয়ে খুলনা কোন কর্মকর্তা পোষ্টিং নিতে ভয় পেত যার কারনে এক সময় তিনি খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-১ সকল উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর দায়িত্বে ছিলেন ও খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-২ উপ-বিভাগীয় প্রকোশলী দায়িত্বে ছিলেন এমনকি বাগেরহাট গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর দায়িত্বে ছিলেন যা নথিপত্র যাচাই করলে প্রমান পাওয়া যাবে। ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন পর গত ৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে অমিত কুমার বিশ্বাস কে পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগে বদলী করা হয় পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগে এসেও সেই খুলনার কায়দায় ভোলপাল্টে এপিপির কাজ এলটিএম পদ্ধতির পরিবর্তে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করেছেন যার আইডি নাম্বার গুলি Id.no.1082830 Id.no.1078462 Id.no.1078463 Id.no.1072870 Id.no.1072103 Id.no.1072880 Id.no.1072852 Id.no.1071872 Id.no.1070585 Id.no.1066538 Id.no.1067779 Id.no.1067780 Id.no.1070581 এই সকল এপিপির কাজ প্রধান প্রকৌশলী প্রজ্ঞাপন অমান্য করে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিতে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন অমিত কুমার বিশ্বাস। মাঝখানে অমিত কুমার বিশ্বাস গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দায়িত্ব পালন করেন ২০২০ সালে মুজিব শত বর্ষে শেখ মুজিবের সমাধিস্থলে দশ কোটি টাকার কাজ করে পছন্দের ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজশ করে ভাগাভাগি করে নেন এমনকি ফ্যাসিস্ট হাসিনার টুঙ্গিপাড়ার বাড়ির নির্মান কাজ কুখ্যাত নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস বাস্তবায়ন করে কোটি কোটি টাকা সরকারের গচ্ছা দিয়েছেন। এই মহা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সেকেন্ড হোম ভারত শত কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাচার এমনকি ভারতে তার দ্বৈত নাগরিকত্তের বিষয়টি অনুসন্ধানে প্রতিবেদকের কাজে অভিযোগ উঠে আসে। বাংলাদেশে তিনি খুলনা শহরে সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ছয় তলা একটি বাড়ি, খুলনার ডুমুরিয়ায় ২০ বিঘার একটি ঘের, ঢাকার উত্তরায় ১২নং সেক্টরে দুইটি ফ্ল্যাট, বসুন্ধারা আবাসিক এলাকার সি ব্লক রোড নং ১২তে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে ও গাজীপুরে দশ একর জায়গা ক্রয় করেছেন ও রির্সোট নিমান করার জন্য এছাড়া নামে বেনামে কোটি কোটি ব্যাংকে জমা আছে।