বুধবার (৩১ মে) রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনের খেলার মাঠে অবস্থান নেন তিনি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। তার দাবিগুলো হলো হল থেকে গণরুম বিলুপ্ত করা, অছাত্রদের বের করা ও গণরুমে অবস্থান করা বৈধ ছাত্রদের আসন নিশ্চিত করা।
এদিকে শিক্ষার্থীর অবস্থান কর্মসূচির খবর পেয়ে হলের দায়িত্বরত শিক্ষকরা উপস্থিত হন। এ সময় তারা দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন। তবে দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন অবস্থানকারী শিক্ষার্থী।
সামিউল ইসলাম প্রীতম বলেন, বুধবার থেকে অবস্থান নিয়েছি। হল প্রশাসন এসে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, তবে দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ওয়ার্ডেন ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাব্বির আলম বলেন, সামিউলের সঙ্গে দু’বার দেখা করেছি। তার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হলে আসন ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া অন্য দাবিগুলোও মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি। সেই দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সময় চেয়েছি। কিন্তু সে সময় দিতে রাজি হচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, সামিউলের জন্য হলে আসন ব্যবস্থা করেছি। তবে তার অন্য দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সময় প্রয়োজন। কিন্তু সে সময় দিতে চাচ্ছে না। তবুও আমরা সার্বক্ষণিক তার খোঁজ-খবর রাখছি।