রবিবার হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।
সেখান থেকেই ফেসবুক লাইভে এসে তার জন্য দোয়া চাইলেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট।
লাইভে খালেদ মাসুদ বলেন, “অনেক দিন পর আমি লাইভে আসলাম। আচমকা লাইভে আসার কারণ আছে। রাজশাহীতে থাকার সময় জানতে পেরেছিলাম যে আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটার ও আম্পায়ার নাদির (শাহ) ভাই অসুস্থ, বেশ ভালোই অসুস্থ। উনি হাসপাতালে আছেন।”
তিনি বলেন, “ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্মের পর থেকেই নাদির ভাইয়ের সঙ্গে আমার খেলার সৌভাগ্য হয়েছে। আমাদের অনেক খেলোয়াড় খেলেছে। তার বড় পরিচয় হলো তিনি একজন সাবেক খেলোয়াড়, তার পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ডও আছে, নিজের বড় ভাই বাদশাহ ভাইও অসাধারণ ক্রিকেটার ছিলেন। আমরা ছোটবেলা থেকে নাম শুনতাম, বাদশাহ ভাই, নাদির ভাই।”
খালেদ মাসুদ আরও বলেন, “নাদির ভাই ছিলেন অসাধারণ স্মার্ট প্লেয়ার, ভালো ব্যাটিং করতেন, ছয় মারতেন। ভালো বোলিংও করতেন। তাকে খেলোয়াড় ও বড় ভাই হিসেবে আমরা তাকে শ্রদ্ধা করতাম। মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অসাধারণ মনের। আমার মনে হয়, নাদির ভাইয়ের আম্পায়ারিংয়ে যারা খেলেছেন তারা কেউ কোনওদিন তাকে নিয়ে কটূক্তি করেননি, সমালোচনাও নয়। কেউ ভুল করলে তাকে শুধরে দিতেন।”
৬ টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করা নাদির বললেন, “আমার শরীর কিছুদিন ধরে খারাপ। আমি হাসপাতালে আছি। আগের থেকে ভালো আছি। আপনারা দোয়া করবেন যেন আমি ভালো হয়ে যাই। আবার যেন মাঠে এসে আম্পায়ারিং করতে পারি বা খেলা দেখি। ইনশাআল্লাহ আগের থেকে ভালো আছি। শুধু আমার জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ, আল্লাহ হাফেজ।”
নাদিরের দৃঢ়তায় মুগ্ধ হয়ে খালেদ মাসুদ লাইভ শেষ করার আগে যোগ করেন, “নাদির ভাই কী শক্তিশালী, কী প্রাণবন্ত। আমাকে এখনই তিনি বলছেন, আমরা রাতে যেখানে ফুটবল খেলি সেখানে রেফারিং করবেন। যারা তাকে চেনেন, তারা জানেন, তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেক কিছু দিয়েছেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।”