বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ঢাকার ধামরাইয়ে এক তরুণীর নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে ভাইরালের হুমকি দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে ফেঁসে গেছে সজিব নামে বখাটে এক তরুণ। প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে ওই তরুণীর দুই দিনের অনশনে অবশেষে বৃহস্পতিবার বিয়ের মাধ্যমে সমাধান হয়েছে ঘটনাটি।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার লিটন মিয়ার নেতৃত্বে সমাজের মাতবররা মসজিদের ইমাম ডেকে এনে এ বিয়ে পড়ানোর মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেন। তবে কাজীর কাছে কোনো কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরা বাথুলী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্টরা।
এলাকাবাসী সূত্র জানান, উপজেলার এক তরুণীর নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে কৃষ্ণপুরা বাথুলী গ্রামের মো. বাবুল হোসেনের ছেলে সজিব হোসেন ধর্ষণের চেষ্টা করে দুদিন আগে। এর প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে ওই তরুণী ধর্ষণের চেষ্টাকারীর বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করে।
বিষয়টি যুগান্তরে প্রকাশিত হলে টনক নড়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজপতিদের। মো. লিটন মিয়া নামে এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে স্থানীয় মসজিদের ইমামকে ডেকে এনে ওই ধর্ষণের চেষ্টাকারীর সঙ্গে বিচার দাবিতে অনশনরত ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে পড়ানো হয়। বয়স ২ বছর কম হওয়ায় কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি বলে স্থানীয় সূত্র জানান।
লিটন মেম্বার জানান, সজিব ওই মেয়েটির নগ্ন ছবি যেভাবেই হোক তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেছে। পরবর্তীতে তা ফেসবুকে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ইহা মারাত্মক অপরাধ। মেয়েটি তার ইজ্জত রক্ষার্থে বিচার দাবিতে ওই ছেলেটির বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেছে। কাজেই এ পথ ছাড়া ইহা সমাধান করার জন্য আমাদের কাছে আর কোনো উপায় ছিল না। ন্যায় অন্যায় যাই হোক না কেন বিষয়টি অন্তত সমাধান তো হয়েছে।
অনশনরত তরুণী জানায়, যে আমাকে নগ্ন দেখেছে সে গ্রামবাসীর চাপে বিয়ে করে আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছে। দ্বিতীয় কেউ আমাকে নগ্ন অবস্থায় দেখল না। কারণ অন্য কোথাও আমার বিয়ে হলে সেও আমাকে নগ্ন দেখত। তা থেকে আল্লাহ আমাকে হেফাজত করেছেন।