বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বৃহস্পতিবার সার্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমে ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ডান পায়ের গোড়ালিতে আঘাত পান ব্রাজিল তারকা স্ট্রাইকার নেইমার জুনিয়র। তবে খেলা চালিয়ে যান। কিন্তু খেলার ৭৯ মিনিটে দলের চিন্তা বাড়িয়ে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিল তারকা স্ট্রাইকার নেইমার জুনিয়র। মাঠ ছেড়ে বেরনোর সময় দেখা যায় নেইমার তার ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন।
এই ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ে ব্রাজিল জাতীয় দলে। তবে আশঙ্কাই সত্যি হলো। গ্রুপপর্বের পরবর্তী ম্যাচ সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ছিটকে গেছেন নেইমার। এছাড়া গ্রুপপর্বের সবশেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে তাকে পাওয়া নিয়েও শঙ্কা আছে বলে জানান স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা। তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, বিশ্বকাপ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যাননি তিনি।
বৃহস্পতিবার সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ৬২ মিনিট ও ৭৩ মিনিটে রিচার্লিসনের গোলে জয় নিশ্চিত করে সাম্বা বাহিনী। পিএসজি ফরোয়ার্ডকে সারা ম্যাচ জুড়ে কড়া ট্যাকেল করেন সার্বিয়ান নেমানিয়া গুদেল এবং নিকোলা মিলেনকোভিচ। এরপরেই ম্যাচের ১১ মিনিট বাকি থাকতেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। রিজার্ভ বেঞ্চে বসে তাকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।
পাওয়ার ফুটবলের উপর নির্ভর করে বারবার নেইমারকে আটকে দেন সার্বিয়ার হেড কোচ ড্রাগন স্টোকোভিচের ছেলেরা। শারীরিক সক্ষমতা দিয়ে নেইমারের খেলা নষ্ট করে দেওয়ার পাশাপাশি তাকে চার্জ করতেও দেখা গেল। নেইমারকে প্রথমার্ধেই পাঁচবার ফাউল করে সার্বিয়া। খেলার ৮০ মিনিটে মাঠ ছাড়ার আগে নেইমার মোট ৯ বার ফাউলের শিকার হন। এবারের বিশ্বকাপে যা এখন পর্যন্ত কোনো ফুটবলারকে সর্বোচ্চ ফাউল করার রেকর্ড।
ম্যাচ শেষে ব্রাজিল দলের ডাক্তার লাসমার বলেছিলেন, নেইমারের ডান পায়ের গোড়ালিতে আঘাত লেগেছে। সে বেঞ্চে থাকাকালীনই আমরা চিকিৎসা শুরু করি। আরও ভাল মূল্যায়নের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ২৪-৪৮ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। যদিও এমআরআই করা হয়নি এবং আমরা এত তাড়াতাড়ি কোনও মন্তব্য করতে পারি না।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার ফুল-ব্যাক জুয়ান ক্যামিলো জুনিগারের ট্যাকেলের পড়ে নেইমার বিশ্বকাপের বাকি খেলা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। ব্রাজিলের মাটিতে সেলেসাওদের ৭-১ গোলে পরাজিত করে জার্মানি। সেই ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি নেইমার।