সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকরা বলছেন, দেশে এ পর্যন্ত চার জন রোগীর এই চিকিত্সা করা হয়েছে। আর ঢাকার বাইরে এটিই প্রথম সফল সার্জারি।
রোববার বিকালে চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হসপিটালে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্য জানানো হয়।
এভারকেয়ার হসপিটালের থোরাসিক সার্জারি এবং কার্ডিওভাস্কুলার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ ফজলে মারুফের নেতৃত্বে ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আশীষ দে ও অ্যানেস্থেশিয়া দলের প্রচষ্টোয় সফলভাবে এই চিকিৎসা করা হয়েছে।
ডা. মোহাম্মদ ফজলে মারুফ বলেন, এওর্টিক এনিউরিজম মূলত উপসর্গবিহীন একটি রোগ। তবে অন্য যেকোন রোগের চেয়ে মৃতু্য ঝুঁকি বেশি। সাধারণত সার্জারির মাধ্যমে এই রোগের চিকিত্সা করা হয়। তবে আমরা চিকিত্সা করেছি বিশেষ ও আধুনিক থোরাসিক এন্ডোভাস্কুলার এওর্টিক রিপেয়ার ব্যবহারের মাধ্যমে।
ডা. আশীষ দে বলেন, আমাদের শরীরের ধমনীর কোন অংশ অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকলে তাকে এওর্টিক এনিউরিজম বলা হয়। এই রোগের ফলে ৩২-৬৮ শতাংশ রোগীর এনিউরিজম ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে করে তাত্ড়্গণিকভাবে রোগীর মৃতু্য হতে পারে।
এর আগে হার্টের জটিল অস্ত্রোপচার এবং ব্রেইন টিউমারের সফল অসে্ত্রাপচার করা হয়েছিল চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হসপিটালে। ঢাকার পর বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবার প্রতিশ্রম্নতি নিয়ে ৪৭০ শয্যার আন্তর্জাতিক মানের এই হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে চট্টগ্রামে।
১৮ তলার দৃষ্টিনন্দন ভবনে গড়ে উঠা হাসপাতালটি নগরীর সন্নিকটে অনন্যা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত।