1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ অপরাহ্ন

চট্টগ্রামে শ্রমিক লীগ নেতার নির্দেশে বিআরটিসি’র ৪ বাসে আগুন

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪
  • ৮৯ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত শনিবার রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) চারটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ লেগুনাচালক সোহেল রানাকে (৩২) গ্রেফতার করে। গত মঙ্গলবার বিকেলে সে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন মুহাম্মদ জুনায়েদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এতে সে বলেছে, নগরের বায়েজিদ থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি দিদারুল আলমের নির্দেশে বিআরটিসির চারটি বাসে আগুন দিতে চার লাখ টাকায় চুক্তিবন্ধ হন। পুলিশ দিদারকে গ্রেফতার করেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাটহাজারী থানার উপ-পরিদর্শক রহমত উল্লাহ বলেন, সোহেল রানাকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সরকারি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় দিদারুল আলমের সম্পৃক্ততা পেয়ে তাকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত রোববার বিআরটিএ ডিপো চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপক মো: জুলফিকার আলী বাদি হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন।

আদালত সূত্র জানায়, সোহেল রানা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বলেন, শ্রমিকলীগ নেতা দিদারুল আলমের নির্দেশে বিআরটিসির বাসে আগুন দেয় সে। তাকে চার লাখ টাকার দেয়ার কথা ছিল। অগ্রিম হিসাবে পান ৫০০ টাকা।

হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল রানা স্বীকার করেন, ঘটনার আগের দিন শুক্রবার বিকেলে সিএনজি স্টেশন এলাকায় দিদারুল আলম তাকে ৫০০ টাকা দেন ডিপোর ভেতরে বাসগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিতে। কাজ শেষ করলে আরও চার লাখ টাকা দেবেন। সোহেলের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দিদারকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, বাস পোড়ানোর নিদের্শদাতা শ্রমিক লীগ নেতা দিদার এক সময় বিএনপি’র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল বলে অভিযোগ করেছে নগরীর বায়েজিদ থানা শ্রমিক লীগ একাংশের সভাপতি বিপ্লব কুমার দাশ প্রকাশ মাটি। তিনি জানান, দিদার স্ব-ঘোষিত একজন নেতা। সে নিজেকে বায়েজিদ থানা শ্রমিক লীগ একাংশের সভাপতি দাবী করে। সে আসলে শ্রমিক লীগের কেউ না। দেশের ক্রান্তিকালে হতদরিদ্র লেগুনা চালককে দিয়ে বাস পোড়ানো মত যে কাজটি করেছে তাতেই প্রমাণ হয় সে কোন দলের নেতা বা কর্মী।

দিদার সংগঠনের কেউ না-এমনটা দাবী করে জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সফর আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, সে শ্রমিক লীগের নাম বেচে নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আমি নিশ্চিত করে বলছি, দিদার শ্রমিক লীগের সাথে যুক্ত এমন কোন বৈধ কাগজপত্র সে কখনও দেখাতে পারবে না। সে শ্রমিক লীগ নেতা হওয়া দূরে থাক, আমাদের একজন প্রাথমিক কর্মীও নয়। তবে আমি শুনেছি, সে একসময় ২০১২ সালের আগে নগর বিএনপি’র এক নেতার ঘনিষ্ঠ কর্মী ছিল।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন জানান, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। অপরাধী যেই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে, ঘটনা পরবর্তী সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দেশ ও জাতির স্বার্থে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনাই হচ্ছে আমাদের মূল কাজ।

প্রসঙ্গত, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫মিনিটের দিকে হাটহাজারী রোডের নতুনপাড়া বিআরটিসি ডিপোতে চারটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে বিআরটিসির অপারেশন ম্যানেজার মামলা করেন।

সূত্র: দৈনিক যুগান্তর

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com