বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: হাজার হাজার আনসার সদস্যের অবস্থানের কারণে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সব গেট বন্ধ থাকায় বের হতে পারছেন না কেউই। সারাদিন অফিস করার পর তীব্র ক্ষুধায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, বের হওয়ার জন্য এ গেট থেকে ওই গেটে ছুটলেও বের হতে পারছেন না তারা। সচিবালয়ের ভেতরে থাকা ক্যান্টিনগুলো খালি হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বেশি বিপাকে পড়েছেন নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা বলছেন, বাসায় গিয়ে রান্না করার প্রয়োজন। অনেকের বাসায় ছোট বাচ্চা রয়েছে। তাদের পরিবার চিন্তায় আছেন।
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে অফিস করছি, এভাবে কী থাকা যায়। প্রতিদিন এমন আন্দোলন সচিবালয়ের মতো জায়গায় কীভাবে হয়। এটা তো কেপিআই এলাকা। বাসায় আজ যেতে পারব কি না সেটাও জানি না। এভাবে চলতে পারে না।
ক্যান্টিনবয় রফিক জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের ক্যান্টিনে কোনো খাবার নেই। যা ছিল সব বিকেলেই শেষ। আমরা তো খুব বেশি রাখি না। কারণ কাল আবার সরকারি ছুটি। সব মিলে সেভাবে খাবারের ব্যবস্থা রাখিনি। কিন্তু এখন সবাই খুব বিপদে পড়েছে। আমাদেরও কষ্ট লাগছে তাদের খাবার দিতে পারছি না।
এদিকে হাজার-হাজার আনসার সদস্য সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। একপর্যায়ে দুপুর ১২টা থেকে তারা সচিবালয়কে অবরুদ্ধ করে রাখে। এতে সবগুলো গেট বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল ৫টায় অফিস ছুটি হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বের হতে পারছেন না।
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রোববার সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন আনসার সদস্যরা। একপর্যায়ে দুপুরে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারী আনসারদের একাংশ। তারা সচিবালয়ে তিন নম্বর গেট দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে ঢুকে পড়েন।
পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তাদের প্রতিনিধিদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে তার কিছুক্ষণ পরই আবারও আন্দোলন শুরু করেন আনসার সদস্যরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।