1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সাবেক এমপি পুলিশ কর্মকর্তা সহ ১০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, সেক্টর সদর দপ্তর, বান্দরবান কর্তৃক স্থানীয় দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ *সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে যুক্তরাজ্যের স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ নিয়ে এলো ইউসিবিডি* সকল মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের বিশেষ ভাতা দেয়া হবে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সবাই খালাস চৌদ্দগ্রামের চিওড়ায় প্রবাসীর বাড়ীতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ মনোহরদীতে ৪৬ তম বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত শেরপুরে ঘোড়া জবাই করে পুলিশের হাতে ধরা কালিহাতীতে “তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মানুষ চায় জনগণের সরকার : আমিনুল হক

চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে এখনো মরিয়া আওয়ামী লীগ

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪
  • ৬২ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : এখনো চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মরিয়া আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ছাত্র-জনতার ভয়ে সরাসরি চাঁদা তুলতে না পারলেও বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি জানান দেয়ার চেষ্টা করছে। ঢাকা উত্তরের মিরপুর পল্লবী কালসী, গাবতলী, শ্যামলী কল্যাণপুর এলাকায় ব্যবসায়ীদের সাথে গোপনে যোগাযোগের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব এলাকায় চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতেন যুবলীগের সেক্রেটারি ও সাবেক সংসদ সদস্য ময়নুল হোসেন নিখিল। ঢাকা উত্তরের বিভিন্ন এলাকা নিখিলের চাঁদাবাজির সম্রাজ্য হিসেবে পরিচিত ছিল।

তবে গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর গা ঢাকা দেন নিখিল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধানরা। ওই গ্রুপের অনুসারীরাও রয়েছেন আত্মগোপনে। এতে করে সম্পূর্ণ চাঁদামুক্ত অবস্থায় ব্যবসা শুরু করেন বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি নিখিলের কিছু অনুসারী মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসব এলাকায় যারা নিয়মিত চাঁদা তুলতেন তাদের মধ্যে কিছু পরিচিত মুখ বিভিন্নভাবে সিগন্যাল দেয়ার চেষ্টা করছে। তবে ওই সিগন্যালকে মোটেই পাত্তা দিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।

গতকাল কয়েক দিন মিরপুরসহ ঢাকা উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ব্যবসায়ীদের কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। মিরপুর-১০ নম্বর থেকে শুরু করে দুই নম্বরের শেষ পর্যন্ত রাস্তার পাশে রয়েছে ছোট বড় কয়েক শত দোকান। এ ছাড়া মিরপুর-১, দারুস সালাম, গাবতলী হয়ে বেড়িবাঁধ রুপনগর এলাকাসহ আশপাশের রয়েছে কয়েক হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ডিশ লাইন, ইন্টারনেট ব্যবসাসহ এলাকাভিত্তিক ছোট-বড় সব প্রতিষ্ঠান থেকেই কয়েক ভাগে চাঁদা উঠানো হতো। এলাকাভিত্তিক চাঁদার জন্য নির্দিষ্ট লোক নিয়োগ থাকলেও পুরো চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রক ছিলেন যুবলীগ সেক্রেটারি ময়নুল হোসেন নিখিল। তিনি ভাগ করে দিতেন কোন এলাকায় কোন সেক্টরের চাঁদা কে তুলবে। সেই হিসেবে একজনকে প্রধান করে দেয়া হতো। ওই প্রধানের নিয়ন্ত্রণে থাকত অন্যরা।

মিরপুর-২ এর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, গত ১২ বছর কাপড়ের ব্যবসা করছেন তিনি। বিক্রি না হলেও প্রতিদিন বিভিন্ন বাহিনীকে তিন থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা চাঁদা দিতে হতো। কিন্তু এখন কাউকেই কোনো চাঁদা দিতে হয় না। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর যারা চাঁদা নিতো তারা সবাই গা ঢাকা দিয়েছে। তবে ১০ আগস্টের দিকে স্থানীয় যুবদল ছাত্রদলের নেতারা তাদের সাথে পরিচিত হতে আসেন। তারা কোনো চাঁদা দাবি না করলেও নিখিলের বাহিনীর সদস্যরা নতুন করে ঘোরাঘুরি শুরু করেছে। আসা যাওয়ার সময় ইনিয়ে-বিনিয়ে টাকা দাবি করছে।

মিলন নামে অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, আগের এক লাইনম্যান তাকে অভয় দিয়ে বলেন, কাউকে কোনো চাঁদা দিবা না, আমরা আছি তো, আমরা তোমাদের শেল্টার দিব’।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চাঁদামুক্ত ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে রাজধানীতে। আগে যেভাবে বাধ্যতামূলক চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করতে হতো এখন সেটি নেই। তবে কেউ যদি আগের মতো কর্মকাণ্ড ঘটাতে চায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com