বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামীলীগ নেতা শেখ মর্তুজা কাওসার অভি (৩৮) হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে রিয়াজুল ইসলাম বাপ্পি। সেই সাথে গ্রেফতার আরিফুর রহমান শুভ (৩৫), হিমেল (৩২), সোহাগ (৩০) ও জাহিদ হোসেন (২৬) বিরুদ্ধে ২দিনের রিমান্ড শুনানীর মঞ্জুরী দিয়েছে আদালত।
শনিবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার।
অপরদিকে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকায় এবং সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে শেরপুরের ৪ যুবলীগ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জেলা যুবলীগ।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু জানান, সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা হলো, শেরপুরের মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, শেরপুর শহর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাপ্পি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ এনামুল মুসলিম সোহাগ, শহর যুবলীগ সদস্য আব্দুল আল মাহমুদ হিমেল। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
উল্লেখ্য গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে শেরপুরে আ.লীগ নেতা শেখ মর্তুজা কাওসার অভি (৩৮) উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় মোজাহিদ গ্যারেজের সামনে নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খাদিজা আকতার লিমা বাদি হয়ে ১৭ জনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদি খাদিজা আক্তার লিমা অভিযোগ করে জানান, আমার স্বামীর হত্যাকারীরা খুবই প্রভাবশালী। ঘটনার পর থেকেই তাদের নামে মামলা না করার জন্য নানাভাবে আমাকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছিল। কিন্তু আমি সেসব বাধা উপেক্ষা করে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনের কথা বলে আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। খুনিরা যতবড়ই প্রভাবশালী হউক না কেন আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাই।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মামলার এজাহার নামীয় অভিযুক্ত ৫জনে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে এবং বাঁকী ৪জন বিরুদ্ধে আদালত ২ দিনের বিমান্ড মঞ্জুর করেছে। তাছাড়া মামলার অন্য অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে দাবী ওই পুলিশ কর্মকর্তা।