বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হারের পর ওয়ানডেতে ফিরেই বাঘের গর্জন ছাড়ল বাংলাদেশ দল।
দারুণ ব্যাটিং শৈলি দেখিয়েছে টাইগাররা। টপঅর্ডারের ৪ জনই দেখা পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির।
তামিম- লিটন-বিজয় ও মুশফিকের দারুণ ব্যাটিংয়ে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রানের পাহাড় গড়েছে টাইগাররা।
এ বড় সংগ্রহে সবচেয়ে বড় অবদান দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ পেয়ে দারুণ পারফর্ম করে বাংলাদেশ। ২৫ ওভার পর্যন্ত কোনো উইকেটই হারায়নি টাইগাররা।
২৬তম ওভারে সিকান্দার রাজার ৪র্থ ডেলিভারিটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে টাইমিং সেভাবে হয়নি তামিমের। থার্ডম্যান কাইয়ার হাতে ধরা পড়েন।
এর আগে ৮৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন এ ড্যাশিং ওপেনার। লিটনের সাথে ১১৯ রানের জুটি ভাঙে। তামিমের আউটের সময় ৪৬ রানে ব্যাট করছিলেন লিটন। এরপর তিন বছর পর ওয়ানডে দলে ঠাঁই পাওয়া এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন লিটন।
দারুণ ব্যাটিং করছিলেন। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। ৩৪তম ওভারের প্রথম বলেই ঘটে অনাকাঙিক্ষত ঘটনা। ব্যক্তিগত ৮১ রানে এসে হঠাৎ পায়ে টান পড়ল লিটনের। চোট এতোটাই বেশি ছিল যে উঠেই দাঁড়াতে পারলেন না। ফলে রিটায়ার হার্ট হয়ে স্ট্রেচারে শুয়েই মাঠ ছাড়েন এ ডানহাতি ওপেনার।
এর আগে বিজয়ের সঙ্গে ৪০ রানের পার্টানারশিপ গড়েন লিটন।
লিটনের পর মাঠে নামেন দলের আরেক নির্ভরযোগ্য ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। আগের দুই সতীর্থের মতো বিজয় ও মুশফিকও হাত খুলে ব্যাট চালিয়ে যান।
৪১তম ওভারে সুম্বার করা ৫ম ডেলিভারিটি লং অন দিয়ে উড়িয়ে মেরে সীমানা ছাড়া করেন বিজয়।
সেই ছক্কার সাহায্যে ৪৭ বলে ৫০ রান স্পর্শ করেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ারের ৪র্থ হাফসেঞ্চুরি।
ফিফটি স্পর্শ করেই রানের চাকার গতি আরও বাড়িয়ে দেন বিজয়। ৪৫.৫ ওভারে গিয়ে থামে তার ব্যাট। লং অনে মুসকান্দার হাতে ক্যাচ তুলে দিলে ৬২ বলে ৭৩ রানে থামে বিজয়ের ইনিংস। তার এই ইনিংসে ৩ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারির মার ছিল।
এদিকে বিজয়ের মতো মারমুখী হন মুশফিকও। ৪৮ বলেই ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪২তম হাফসেঞ্চুরি। এ হাফসেঞ্চুরির পথে ৫টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন মি. ডিডেন্ডেবল।
অপরদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ২০ রানে।