বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : চলতি আমন মৌসুমে চুক্তির পরও চাল সরবরাহ না করা চালকল মালিকদের তালিকা প্রস্তুত করতে খাদ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গত ৩ মার্চ এ নির্দেশনা দিয়ে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে সকল আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ মৌসুম গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ৭ লাখ ২০ হাজার টন সিদ্ধ চালের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সারাদেশের চালকল মালিকদের অনুকূলে ৭ লাখ ১৭ হাজার ১৭৩ টন চালের বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বরাদ্দ করা চালের বিপরীতে ৭ হাজার ১২ হাজার টন চাল সরকারি খাদ্যগুদামে এসেছে। অবশিষ্ট ৫ হাজার ২৬৯ টন বরাদ্দকৃত চাল গুদামে আসেনি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত ফসল হয়েছে, খাদ্য শস্যের কোনো সংকট হবে না। এ সময়ে বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক। প্রয়োজনে বেশি কর ছাড় দিয়ে খাদ্য শস্য আমদানি করা হবে।’
চালকল মালিকদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নূন্যতম লাভে বাজারে চাল সরবরাহ করুন।’
তাই গত আমন সংগ্রহ মৌসুমে চুক্তি করে আংশিক বা কোনো চাল সরবরাহ না করা চালকল মালিকদের মিলের তালিকা (নাম, চুক্তিকৃত পরিমাণ, সরবরাহ করা পরিমাণ, সরবরাহ না করা পরিমাণ, মন্তব্য) ৭ মার্চের মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তরে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।
চলতি আমন মৌসুমে সরকার অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ৩ লাখ মেট্রিক টন ধান ও ৪০ টাকা কেজি দরে ৫ লাখ টন সিদ্ধ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। গত ৩১ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। পরে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন বাড়ানো হয়। গত ৭ নভেম্বর থেকে আমন ধান ও চাল কেনা শুরু হয়েছিলো।