1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
হাতিয়া প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক ভোটে নতুন কমিটি গঠন ক্রীড়াঙ্গনের মাধ্যমে মাদকমুক্ত সুস্থ জাতি তৈরি করতে চাই : আমিনুল হক কাউখালীতে অবৈধ তিনটি ইটভাটা বন্ধ ও অর্থদন্ড জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ছাত্র-জনতার অর্জিত ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে” —— মিয়া গোলাম পরওয়ার। দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে আ.লীগ: মির্জা ফখরুল মরহুম আনিসুল হক স্মৃতি একাদশকে উড়িয়ে সেমিফাইনালে সোনারপাড়া এফসি রাবিপ্রবি’র নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে প্রফেসর ড. মোঃ আতিয়ার রহমান এর যোগদান গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের শীতবস্ত্র বিতরণ বিএফআইইউ-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব দাউদকান্দিতে ৩০০ শীতার্তদের পাশে দাঁড়ালো আলোর দিশারী মানবসেবা সংগঠন

চিত্রনায়িকা শিমু হত্যা : বেরিয়ে এলো ভয়ানক তথ্য

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩২৪ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার ঘটনায় স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

শিমু হত্যা মামলাটি তদন্ত করছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বাবা-মাকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতেন নায়িকা শিমু। তাদের বাসার পাশে ছিল নোবেলের বাসা। ফলে নিয়মিত দেখা হত। এক সময় তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে বাবা-মায়ের অমতে শিমুকে বিয়ে করেন নোবেল। ফলে নোবেলের বাবা-মা আলাদাভাবে বসবাস করতে থাকেন। রাজধানীর গ্রিন রোডে স্ত্রী-সন্তানসহ বসবাস করতেন নোবেল।

বিয়ের পর বিভিন্ন বিষয়ে মনোমালিন্য দেখা দেয় দুজনের। এর মধ্যে নোবেল শিমুকে সিনেমায় অভিনয় করতে নিষেধ করেন। তার কথামতো সিনেমা ছেড়ে বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেল চাকরি নেন শিমু। এ চাকরিটাও ভালোভাবে নেননি নোবেল। এ নিয়ে নোবেল ও শিমুর সংসারে চলে আসছিল কলহ। এ কলহের কথা নোবেল তার বাল্যবন্ধু ফরহাদের সঙ্গে শেয়ার করতেন।

চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি সকাল সোয়া ৮টায় নোবেলের বাসায় যান ফরহাদ। এ সময় ফরহাদকে ড্রইংরুমে বসতে দিয়ে নোবেলকে জানান শিমু। নোবেল গিয়ে ফরহাদের সঙ্গে দেখা করে রান্নাঘরে চা বানাতে যান।

এ সময় বেডরুমে বসে মোবাইলে কিছু একটা দেখছিলেন শিমু। তখন নোবেল গিয়ে সেই মোবাইল দেখতে চান। কিন্তু শিমু দেখাতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। হইচই শুনে ফরহাদ উঠে শিমুর রুমে যান। তখন নোবেল ফরহাদকে বলেন, শিমুকে ধর, ওকে আজ মেরেই ফেলব।

কথামতো ফরহাদ ধরতে গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন শিমু। এর পর নোবেল প্রথমে শিমুর গলা ধরতে গেলে তাকেও ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। এবার ফরহাদকে শিমুর গলা ধরার জন্য বলেন নোবেল। ফরহাদ গলা আর নোবেল দুই হাত চেপে ধরেন। একপর্যায়ে নিচে পড়ে যান শিমু। নোবেল শিমুর গলার ওপর পা দিয়ে দাঁড়ান। এতে প্রস্রাব করে দেন শিমু। এক সময় শিমু নিস্তেজ হয়ে পড়েন।

এ সময় নোবেল ফরহাদকে দেখতে বলেন শিমু বেঁচে আছে কিনা। ফরহাদ শিমুর হাত দেখে বলেন, ‘শিমু বেঁচে নেই।’ তখন তারা দুজনে মিলে মরদেহ লুকানোর পরিকল্পনা করতে থাকেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, একপর্যায়ে নোবেল রান্নাঘর থেকে দুটি পাটের বস্তা এবং ফ্রিজের ওপর থেকে মিষ্টির প্যাকেট বাঁধার প্লাস্টিকের রশি আনেন। ফরহাদ শিমুর মাথা উঁচু করে ধরেন। আর নোবেল একটি বস্তার ভেতর শিমুর মাথার অংশ এবং আরেকটি বস্তায় পায়ের অংশ ভরেন।

এর পর প্লাস্টিকের রশি দিয়ে দুটি বস্তা একত্রে সেলাই করে দেন নোবেল। পরে শিমুর মরদেহ নোবেলের গাড়ির পেছনের সিটে ওঠান ফরহাদ। এর পর কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আলীপুর ব্রিজ এলাকার একটি ঝোপে মরদেহ ফেলে দেন তারা। পরদিন ১৭ জানুয়ারি আলীপুর এলাকার রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার পরিচয় মিলছিল না। পরে ওইদিন রাতে তার ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি সকালে কেরাণীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকা থেকে শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। শিমুকে হত্যা করার অভিযোগে তার স্বামী নোবেল ও বন্ধু ফরহাদকে গ্রেফতার করে কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ। তাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। নিহতের বড় ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন এই অভিনেত্রী।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com