সোমবার (৩১ মে) সচিবালেয় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, ৫০ লাখ করে তিন দফায় চীনের দেড় কোটি টিকা দেশে আসবে। এসময় তিনি বলেন, রাশিয়া থেকেও আমরা টিকা পাবো। এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের ভ্যাকসিনেশন কঠিন কোনো বিষয় না। ভ্যাকসিন নিয়ম মাফিক সিরিয়ালওয়াইজ দেওয়া হবে। যারা নিবন্ধন করেছে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সরকারি, বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
নিবন্ধন প্রক্রিয়া কবে থেকে শুরু হবে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত হলেই আবার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে। নতুন টিকা দেশে আসা মাত্রই আবারও নিবন্ধন শুরু হবে। ফাইজারের টিকা নিবন্ধনকারীদের মধ্য থেকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, জুন, জুলাই ও আগস্টে প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ডোজ চীনা টিকা আসবে। চীনের মতোই রাশিয়ার কাছ থেকে একই পরিমাণ টিকা আসবে। রাশিয়ার কাছে প্রস্তাবনা গেছে, শিগগিরই চুক্তি হবে। আগে টিকা আসবে, উৎপাদনের প্রস্তুতিও চলমান থাকবে। ভারতের কাছে পাওনা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আনার চেষ্টা এখনও অব্যাহত আছে। পাঁচ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা গেলে দেশের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।