প্রতিবেদক: মো. কাজল : প্রতারণা যেন এক বিনা পুঁজির লাভজনক ব্যবসা। বিশ্বাসভঙ্গ আর অসহায়ত্বের অভিনয়ের মাধ্যমে প্রতারকরা যেমন নিজের সুবিধা আদায় করে কেটে পড়ে, তেমনি সহজ-সরল মানুষগুলো প্রতারিত হয়ে কপাল চাপড়াতে বাধ্য হয়। এমনই এক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানা এলাকার বানিয়ারচালা গ্রামের বাঘের বাজারের চায়না ফ্যাক্টরি সংলগ্ন খোজায়ফা মার্কেটে।
এখানে মার্কেট মালিক ও সাংবাদিক মোসাম্মৎ খাদিজা আক্তার রওজার কাছ থেকে নরসুন্দর পরিচয়ে একটি দোকান ভাড়া নেয় ছদ্মনামধারী সোহাগ নামের এক প্রতারক। অতিশয় ভদ্র ও বিনয়ী আচরণের মাধ্যমে মালিকের সহানুভূতি অর্জন করে সে। গত কয়েক বছর ধরে সে সেখানে একটি সেলুন পরিচালনা করে আসছিল।
পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, তার প্রকৃত নাম মো. ইব্রাহিম (২৫), পিতার নাম মো. আলিম অথবা হালিম ওরফে কালু মিয়া, মাতার নাম মোসাম্মৎ লায়লা বেগম। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার আমুদাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।
বিভিন্ন অজুহাতে সে দীর্ঘ ১০ মাসের দোকানভাড়া বকেয়া রাখে। এ বিষয়ে দোকান মালিক খাদিজা আক্তার বারবার চাপ দিলে প্রতারক ইব্রাহিম আশ্বাস দেয় যে, ঈদের আগে ২৯ মার্চ ২০২৫ তারিখ রাতে সে সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ করবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে ভিন্ন চিত্র—২৮ মার্চ রাতের অন্ধকারে নগদ টাকা ও সেলুনের উপকরণ নিয়ে সে গোপনে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে তার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে, প্রতারক ইব্রাহিম ও তার মা ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী খাদিজা। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
এই প্রতারণা উদাহরণস্বরূপ প্রমাণ করে, শুধুমাত্র বাহ্যিক বিনয় ও অসহায়ত্ব দেখেই কাউকে বিশ্বাস করা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে।