বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ফেনীর দাগনভুঞার এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় মোহাম্মদ সাকিব (২৪) নামে এক যুবক। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে সাকিব। ছয় দিন পর ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে সাকিবসহ দুইজনকে।
মঙ্গলবার ভোরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় সাতবাড়িয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ সাকিব ও একই এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ নিপনকে (৩৬) গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার বিকালে দাগনভূঞা থানায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আত্মীয়তার সুবাদে সাকিব বিভিন্ন সময় ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়ে আসছিলেন সাকিব। কিন্তু এতে রাজি হয়নি ওই ছাত্রী।
গত ৩০ জুন সকাল ৮টার দিকে স্কুলছাত্রী অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। পথে মাছিমপুর ঈদগাঁ এলাকা থেকে অভিযুক্তরা তাকে ধরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে আসামি নিজেই ছাত্রীর বাবাকে মোবাইল ফোনে অপহরণের বিষয়টি জানায়। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার সাতবাড়িয়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দাগনভূঞা থানার এসআই মো. আরিফ উল্লাহ জানান, অপহৃত স্কুলছাত্রীকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দাগনভূঞা থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।