ডেস্ক: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুই মামলায় কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে তার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন খাদিজাতুল কুবরার আইনজীবী বিএম ইলিয়াস কচি।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ খাদিজাতুল কুবরার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিএম ইলিয়াস কচি।
খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও মেজর (অব.) দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। একটি মামলা রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অন্যটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদীই পুলিশ।
গত বছরের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গত বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেফতার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। তখন থেকে তিনি কারাগারে। আর দেলোয়ার বিদেশে পলাতক।
আদালত ও আইনজীবী সূত্রের তথ্যমতে, বিচারিক আদালতে দুবার খাদিজার জামিন আবেদন নাকচ হয়। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তার জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন চেম্বারজজ আদালত। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। অন্যদিকে চেম্বার জজ আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে খাদিজা আবেদন করেন, যা রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের সঙ্গে আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।
আইনজীবী বিএম ইলিয়াস বলেন, প্রায় ১১ মাস ধরে খাদিজা কারাগারে। দুই মামলায় খাদিজাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক লিভ টু আপিল এবং তার জামিন স্থগিত করে চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে করা আবেদন আজ একসঙ্গে শুনানির জন্য ছিল। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আবেদন শুনানি নিয়ে জামিন দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে খাদিজার মুক্তিতে বাধা নেই।