স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে চলে আসা বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার অসহায় খাদিজার ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় গত (২৫ ডিসেম্বর) মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর ১০ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেন খাদিজা আক্তার।
অভিযুক্তরা হলেন- ১। মনির ঘরামি ২। মাঈনুদ্দিন রানা ৩। মাসুদ ৪। মোসা: পারভীন বেগম ৫। কবির ৬। মন্নান ঘরামী৭।সুফিয়া বেগম ৮। ফেরদাউস ৯। জলিল মুন্সি ১০।লাইলী বেগম। প্রত্যেকেই উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
লিখিত অভিযোগ পত্রে খাদিজা আক্তার(৪৫)বলেন, আমার স্বামী মোঃ রতন ফরাজী আমাদের মূল দলিল বন্ধক রাখিয়া বিবাদী মোঃ মন্নান ঘরামীর(৭০) কাছ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। পরে আমার স্বামী স্থানীয় গণ্যমান্য কর্মীদের নিয়ে ধারকৃত টাকা ফেরত প্রদান করিলেও বাড়ির মূল দলিল ফেরত না দিয়া আমার স্বামীর বসতবাড়ি দখল করার জন্য বিভিন্নভাবে পাঁয়তারা করিয়া আসিতেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার(২৫ ডিসেম্বর) আনুমানিক ৯.৩০ ঘটিকায় মহিপুর থানাদীন আলিপুর সাকিনস্থ আমার স্বামীর বসতবাড়ি দখল করার জন্য বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হইয়া দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র লোহার রড হাতুর লাঠিসোটা নিয়ে আমার স্বামীর চৌচালা বিশিষ্ট কাঠ ও টিনের তৈরি ঘর ভাঙিয়ে ফেলে।
অসহায়ত্ব প্রকাশ করে খাদিজা আক্তার অভিযোগে উল্লেখ করেন,আমার ঘরে রক্ষিত স্টিলের ট্রাংকে স্বর্ন অলংকার গচ্ছিত রাখা হাতের ২টি রুলি ওজন ১ ভরি, গলার চেইন ওজন ১ ভরি, কানের ঝুমকা ওজন দশ আনা, বিবাদী মনির ঘরামি নিয়ে পালিয়ে যায়। আমার বসত ঘরে আমি সন্তানাদি নিয়ে থাকতে পারব না এবং ঘর বাড়ি পুরিয়ে দিবে বলে আমাকে হুমকি দেয়।
অভিযুক্তরা সবাই প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস করেনি। জমি নিয়ে তাদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জেরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিমত স্থানীয়দের।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো তরিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে লতাচাপলি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষকে ২ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। সমাধান না হলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।