বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: এবার জাতিসংঘে অদ্ভুত কাণ্ড ঘটালেন ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়াসহ দেশটিকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য করার পক্ষে একটি প্রস্তাব পাস হওয়ার পর তিনি এই কাণ্ড করেন। শুক্রবারের এই ঘটনার ভিডিও অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। ভোটাভুটির পরপর সাধারণ সভাতেই জাতিসংঘ সনদ ছিঁড়ে ফেলেন তিনি।
জাতিসংঘ সনদ ছিঁড়ে গিলাদ এরদান বলেন, ‘আজকের এই দিনটা অন্যতম কালো দিন হিসাবে লেখা থাকবে। আজকে জাতিসংঘে যে অনৈতিক কাজ হলো, আমি চাই গোটা বিশ্ব তা মনে রাখুক। আমি একটা আয়না দেখাতে চাই আপনাদের। রাষ্ট্রসংঘে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কত কথা বলা হয়। কত যুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু আজকে সব মিথ্যা হয়ে গেল। এমন একটা দেশকে সদস্যপদের জন্য সমর্থন জানানো হলো যারা সন্ত্রাসবাদকে মদদ দেয়। জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যে সনদ তা আপনারাই আজকে ছিড়ে ফেললেন। আমি তারই প্রতিচ্ছবি দেখাচ্ছি আপনাদের।’
গিলাদ আরও বলেন, ‘যে দেশের কোনও অস্তিত্ব নেই আপনারা তাদের পক্ষে ভোট দিলেন। আমি পরিষ্কারভাবে ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। আগামী দিনে ফিলিস্তিন হামাস জঙ্গিদের রাষ্ট্র হয়ে উঠবে। আর খুব শীঘ্রই হামাসের মাথা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে অর্থ প্রদান করে এই জাতিসংঘই।’
ভোটের মাধ্যমে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ না পেলেও কিছু অতিরিক্ত পেতে পারে ফিলিস্তিন। যেমন চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে পরিষদের অধিবেশন কক্ষে অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আসন পাবে তারা। তবে কোনো প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে না।
এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ফিলিস্তিনকে নতুন সদস্য করার পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৪৩টি দেশ। আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ৯টি দেশ। এছাড়াও ভোটদানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ।
সূত্র: বিবিসি