বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমরা শুনেছি জাতীয় পার্টি বলেছে, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নাকি দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। অথচ ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতাকারী জাতীয় পার্টি হচ্ছে জাতীয় বেইমান। নতুন বাংলাদেশে জাতীয় পার্টি কীভাবে এ ধরনের কথা বলার দুঃসাহস পায়?
শনিবার বিকালে কুমিল্লার লাকসাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জুলাই বিপ্লবের বীর সেনানীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে যে গণ-অভ্যুত্থান তার ক্রেডিট আমরা সকলে যার যার অবস্থান থেকে নিব। কিন্তু ক্রেডিট নিতে গিয়ে যেন আমরা দেশের স্বার্থে কোনো ধরনের আপস না করি- তা খেয়াল রাখতে হবে। যত বাধাই আসুক গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ও রাজনীতির অধিকার ফিরে দেওয়ার জন্য কেউ যদি আন্দোলনে নাও থাকে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এসব অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন চালিয়ে যাবে। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া-রূপসা থেকে পাটুরিয়া এক ইঞ্চি জায়গাও ফ্যাসিবাদকে ছাড় দেওয়া হবে না।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিবাদের জনক শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম করে দিতো যে জেলা সে জেলা হচ্ছে কুমিল্লা। যে জেলাকে নিয়ে শেখ হাসিনা সবচেয়ে ভয়ে থাকতো তার নাম কুমিল্লা। কুমিল্লার সন্তানরা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে তার যে জায়গা সেই ভারতে পাঠিয়েছে। এই মাদার অব ট্যেরর ভারতে গিয়েও দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকবে হবে। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে, আর কখনো যেন ফ্যাসিবাদ মাথাছাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব রিফাত রশিদ, তরিকুল ইসলাম, নুসরাত তাবাসসুম, কুমিল্লা জর্জ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট বদিউল আলম সুজন, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ। সেলিম মাহমুদ, জামায়াত নেতা জমিরুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, বিএনপি নেতা বেলাল রহমান মজুমদার, সাংবাদিক নেতা মনির আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং আন্দোলনে নিহত লাকসাম-মনোহরগঞ্জের তিন শহীদ পরিবারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সামাজিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।