চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে বরিশাল বিভাগ। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে নেমে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি আশরাফুল, সতীর্থ মঈনুল ইসলাম রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন। আশরাফুল ফেরেন ৪ রান করে। ফজলে রাব্বি ১২ রান ও সালমান ইসলাম অনিক ১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে দলীয় স্কোর ৩০ রান হতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বরিশাল বিভাগ।
ইনিংস সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন রাফসান আল মাহমুদ। মঈন খানের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। পরে শেষদিকের ব্যাটসম্যানরা সুবিধ না করতে পারলে মাত্র ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল বিভাগ। রাফসান-মঈন দুজনকেই সজঘরে ফেরানোর পর পরে আরো ৩ উইকেট নিয়ে ৫ উইকেটের স্বাদ পান হাসান মুরাদ। ৪টি উইকেট নেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান।
পরে নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করতে নেমে মাত্র ৮৭ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা চট্টগ্রাম বিভাগ। ইরফান শুক্কুর ছাড়া আর কেউই ছুঁতে পারেননি ২০ রানের কোটা। বল হাতে দাপট মোহাম্মদ আশরাফুলের। স্পিন ভেলকিতে ৫ উইকেট নেন তিনি। সমান ৫ উইকেট শিকার মনির হোসেনের। এতে প্রথম দিনের খেলা শেষে চট্টগ্রাম বিভাগের থেকে ৫৯ রানে এগিয়ে থেকে আগামীকাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবে বরিশাল বিভাগ।
টায়ার-টু এর অপর ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী বিভাগ। যেখানে ঢাকা মেট্রোর বোলার মোহাম্মদ শরিফউল্লাহর হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেটে ২৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রান আসে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাট থেকে। নাজমুল হোসেন শান্ত খেলেন ৬৭ রানের ইনিংস। ম্যাচে প্রিতম কুমার ও সানজামুল ইসলামের উইকেট তুলে নেওয়ার পর ইনিংসের ৮৩তম ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন শরিফউল্লাহ।