শনিবার (২৮ মে) বিকেল ৪টার দিকে আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে আনা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, সাইফুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহকারী প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষারসহ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ডিইউজে, বিএফইউজেসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাংবাদিক নেতাকর্মীরা।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, এ বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, এ বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে ততদিন আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে মনে রাখব। বিভিন্ন পত্রিকায় তার কলাম প্রকাশ হত। পাঠকরা অপেক্ষা করতেন কখন তার কলাম প্রকাশ পাবে। তার লেখনী আমরা মিস করব। সাংবাদিক সমাজ তার চলে যাওয়ার এ ক্ষতি কখনও পূরণ করতে পারবে কিনা তা জানি না।
সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, আবদুল গাফফার চৌধুরী দেশের বাইরে ছিলেন, কিন্তু তার মন পড়েছিল এদেশে। শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র বাঙালির মণিকোঠায় থাকবেন তিনি। আমি তার পরিবারের প্রতি গভীর সমাবেদনা জানাই।
জানাজা শেষে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম, সংগঠন ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবে জানাজা শেষে প্রয়াত আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।
এর আগে বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের তত্ত্বাবধানে সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন আবদুল গাফফার চৌধুরী।