1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সাংবাদিকের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা,দায়ী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করার জন্য থানা পুলিশের প্রতি আহবান “পতিত” আওয়ামী স্বৈরাচারের গত ১৭ বছরের নির্যাতন ভূলে যাবার সুযোগ নেই : আমিনুল হক ভোটের অধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নিজের অধিকার আদায়ে সবাইকে ৫ আগস্টের মতো আবারও রাজপথে নেমে আসতে হবে -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল জরুরি বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় ভোগান্তিতে রোগীরা ছাত্র-জনতা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের অর্জিত অভূতপূর্ব বিজয় যেন হাতছাড়া না হয় : এ্যাড.শিমুল বিশ্বাস ‘কারকুমা’ ফাংশনাল ফুড এখন যুক্তরাষ্ট্রে বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বান্দরবান সুয়ালক ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায় আওয়ামী ফ্যাসিষ্টদের দোসর কতৃক চাঁদাদাবী ও কাজে বাঁধাদানের প্রতিবাদে মানববন্ধন বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব : ড. আসিফ নজরুল বীরগঞ্জে দারুল হুদা হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ

জাবিতে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৫১ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ধর্ষণের বিচারসহ ৫ দফা দাবিতে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বরে ধ্বনির দপ্তর সম্পাদক ফাইজা মেহজাবিন প্রিয়ন্তির সঞ্চালনায় এ প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ পালন করা হয়।

প্রতিবাদী সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রাপ্তি তাপসী বলেন, এ ধর্ষণ কোনো বিচ্ছিন্ন কর্মকাণ্ড নয়। আমরা দেখেছি এ ধরনের অভিযোগ বারংবার আসার পরেও সে অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয় কিন্তু তদন্তের রিপোর্ট পেশ করা হয় না। সাংস্কৃতিক জোট বলতে চায় যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করে বিদ্যমান সকল অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে ও আশু সুরাহা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যে প্রশাসন চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের অভিযোগ আসার পরেও চুপ করে বসে থাকে, শিক্ষার্থীরা সেই প্রশাসনকে মান্য করে না। ধর্ষণকাণ্ডের পর থেকে প্রশাসন তাদের দায়িত্ব থেকে যে পিছনগুটিয়ে চলে এসেছে তার দায় এই প্রশাসনকে নিতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সকল জনসাধারণের জন্য নিরাপদ করতে হবে। প্রশাসন যদি ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের দৌরাত্ম্যের নিরসনে কাজ না করে তবে আমরা আরও কঠোর ভূমিকা নিতে বাধ্য হবো।

জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, যারা ধর্ষক তারা একদিনে ধর্ষক হয়ে উঠেনি। তাদের পেছনে আছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের মদদ, তার পাশাপাশি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আস্থার ছায়াতল। এই আন্দোলন শুধু ধর্ষকের বিরুদ্ধে নয়, এই আন্দোলন সেসব অছাত্র, মাদক চোরাচালানকারী ও ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যারা মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলছে এ ক্যাম্পাসে। এ আন্দোলন সেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে যে প্রশাসন যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত মাহমুদুর রহমান জনিকে তাদের ছায়তলে রেখে সুরক্ষা দেয়।

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক বান্না বলেন, আমরা জানতাম এ ক্যাম্পাসে রাতে-দিনে নারীরা সবসময় নিরাপদ। এই যে মোস্তাফিজ ও মুরাদ তারা একদিনে গড়ে ওঠেনি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং ও গণরুম বন্ধ হয়নি এখনো। যে গণরুম বিশ্ববিদ্যালয়ে একেকটি মোস্তাফিজ ও মুরাদ তৈরি করছে সেই গণরুমকে বন্ধ করতে হবে।

তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার হয়নি। যদি মোস্তাফিজ জানতো এই জনির বিচার হয়েছে তাহলে সে ধর্ষণের মতো এরকম কাজ করার সাহস পেত না। ধর্ষণকাণ্ডে শুধু মোস্তাফিজ ও মুরাদরা জড়িত নয়। এর পেছনে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া জাহান বলেন, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়েই মূলত জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের উৎপত্তি। আমরা সবসময়ই আন্দোলন করার চেষ্টা করেছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে। দেশের প্রচলিত আইনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে সেই মামলাটি যেন দ্রুত কার্যকর হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট নিরসনের মূল যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা হচ্ছে হলগুলো থেকে অছাত্রদের বিতাড়িত করা। এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের যারা হলে অনেকগুলো সিট একসঙ্গে দখলে রেখেছেন এবং পলিটিকাল ব্লক তৈরি করে থাকেন তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শরন এহসান বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ধর্ষণের ঘটনার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবং তার প্রেক্ষিতে মুহূর্মুহু যেসব তথ্য উঠে আসছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে, মাদক, চোরাকারবারি এবং অভারল ক্যাম্পাসের শিক্ষাব্যবস্থা কিংবা প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ে সেগুলোর সমাধান করতে হবে। এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা যারা সংস্কৃতি কর্মী, আমরা জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সংস্কৃতি কর্মী রয়েছি, আমরা শিল্পের মাধ্যমেই আমাদের প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরতে সর্বদা চেষ্টা করি।

এর আগে, ৪ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট তাদের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করে। দফাগুলো হলো – চলমান ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু সুরাহা এবং জড়িত সকলকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে, যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করে পূর্বের সকল অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার পূর্বক দায়িত্ব অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে, হল থেকে অছাত্রদের বের করে সিট সংকট নিরসন করতে হবে, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের দৌরাত্ম্য নিরসনে পদক্ষেপ নিতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com