প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন করেছেন তার আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে জামিন আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদদীন মেজবাহ।
তিনি জানান, সিএমএম আদালতের জামিন নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সকালে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আমরা জামিনের আবেদন দাখিল করেছি। এদিন বিকালে জামিন আবেদনের শুনানির তারিখ পাবো বলে আশা করছি।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
পরদিন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি জামিনেই আছেন।
মির্জা ফরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল অবঃ আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আবদুস সালাম, ভিপি জয়নাল, উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য, ডঃ ফরহাদ খালিম ডোনার, শাহজাদা মিয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, আতাউর রহমান ঢার্লি, আব্দুল খায়ের ভূঁইয়া, আমিনুল হক, ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আসাদুল কমির শাহিন, তরিকুল ইসলাম তেজনি, মনির হোসেন, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, মীর সরাফত আলী শফু, রফিকুল ইসলাম বকুল, অমিরুল ইসলাম আলিম এবং ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকে আটককৃত আসামীরা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এর পূর্ব ঘোষিত মহা সমাবেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাকর্মীরা হাতে লাঠিসোঠা, লোহার রড, ইট পাটকেল ও ককটেলসহ বিভিন্ন মারাত্মক অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাস ভবনের সামনে বেআইনী সমাবেশ ঘটিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয় ও মিছিল করতে থাকে। ওই সময় তারা বৈশাখী পরিবহনে বাসসহ একাধইক বাস, পিকআপ ভাংচুর করে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে।মিছিলকারীরা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতা কর্মীদের নির্দেশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠি গোটা, লোহার রড, ইটপাটকেল এবং ককটেল (বিস্ফোরক) সহ বেআইনী সমাবেশ ঘটিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে রাস্তায় জনসাধারনের ও মানবাহনের চলাচলে প্রতিবন্ধকরা সৃষ্টি করে যানবাহনের ক্ষতিসাধন, জনমনে আতঙ্ক, ত্রাস সৃষ্টি করে পুলিশের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা ও হত্যার উদেশে আক্রমন করে ও ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে পুলিশ সদস্যদের আহত করে।