পাঁচ বছর আগে রিও ডি জেনিরোর বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে জার্মানির বিপক্ষেই ফাইনালে নেমেছিল ব্রাজিল।
সেবার টাইব্রেকারে নেইমারের শেষ শটে বল জালে পাঠিয়ে প্রথমবারের মত অলিম্পিকের স্বর্ণ পদক জিতেছিল ব্রাজিল।
জাপানের ইয়োকোহামার ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সেই সুখস্মৃতিচারণ করল ব্রাজিল।
জার্মানির জালে এক হালি গোল দিল ব্রাজিল। এর মধ্যে তিনটিই এসেছে কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনার জালে বল জড়ানো তারকা ফরোয়ার্ড রিচার্লিসনের পা থেকে।
উদ্বোধনী ম্যাচেই হ্যাটট্রিক গড়ার অনন্য রেকর্ড স্পর্শ করলেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
অন্য গোলটি দিয়েছেন পাওলিনহো। ব্রাজিলের দেওয়া চার গোলের বিপক্ষে দুটো শোধ করতে পেরেছে জার্মানি।
দলটির পক্ষে গোল দুইটি করেছেন নাদিয়েম আমিরি ও রাগনার অ্যাক।
আর নিসান স্টেডিয়ামে জার্মানির বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ম্যাচের মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস গড়েছেন ব্রাজিলের তারকা ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন।
মাত্র ৭ মিনিটের সময়ই প্রথম গোলটি করেন রিচার্লিসন। অ্যান্টনির থ্রু বল ধরে ডি-বক্সের ডান পাশ থেকে ডান পায়ের শটে জালের ডান দিকে দিয়ে বল জালে জড়ান জাতীয় দলের এ ফরোয়ার্ড।
এর ১৫ মিনিট পরই নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন রিচার্লিসন। এবার গুইলেরমের ক্রসে জালের খুব কাছ থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন তিনি।
২৪ বছর বয়সি এ ফরোয়ার্ড ম্যাচের ৩০ মিনিটের সময় নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। ম্যাথিউজ কুনহার পাস ধরে ডি-বক্সের মাঝ থেকে ডান পায়ের শটে ম্যাচে নিজের তৃতীয় গোলটি করেন তিনি। ব্রাজিল এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে।
তখনো একটিও শোধ করতে পারেনি জার্মানি।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ঘুরে দাঁড়ায় জার্মানি। ম্যাচের ৫৭ মিনিটের সময় ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডানপায়ের জোরালো শটে এক গোল শোধ করেন নাদিয়েম আমিরি।
খেলার ৮৪ মিনিটে গিয়ে ডেভিড রাউমের ক্রস থেকে মাথা ছুইয়ে দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন রাগনার অ্যাক।
৩-২ ব্যবধানে খেলায় উত্তেজনা ছড়ায়। জার্মানি সমর্থকরা অপেক্ষায় ছিলেন বাকিটা সময়ে সমতায় ফেরার।
কিন্তু তা তো পারেই কুন্তজের শিষ্যরা উল্টো চতুর্থ গোলটি হজম করতে হয়। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ব্রুনো গুইলেরমের পাসে জার্মানির জালে বল জড়ান পাওলিনহো। হালি পূরণ হয়।
রেফারির শেষ বাঁশিতে ৪-২ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।