ফেসবুকে ছড়িয়ে যাওয়া সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা নিশ্চিত করেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকরা। উপাচার্যের সাথে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন তিন শিক্ষার্থীও অডিওর সত্যতা নিশ্চিত করেন। শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকরা জানান, গত বছর শাবিপ্রবির সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের অংশ হিসেবে উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎও করেন। তখন তাদের দাবি ছিল ৩৬৫ দিন হল খোলা রাখা, ছেলে ও মেয়েদের ক্ষেত্রে হলে প্রবেশের সময়সীমা চাপিয়ে না দেয়া। এ প্রেক্ষিতে এক ছাত্রলীগ নেতার বরাত দিয়ে উক্ত মন্তব্য করেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
ওই অডিওতে উপাচার্যকে বলতে শোনা যায়, যারা এই ধরনের দাবি তুলেছে যে, বিশ্ববিদ্যালয় সারা রাত খোলা রাখতে হবে, অবশ্যই এই দাবিটা এসেছে এবং এইটা একটা জঘন্য রকম দাবি। আমরা মুখ দেখাইতে পারতাম না। এখানে আমাদের ছাত্রনেতারা বলছেন যে জাহাঙ্গীরনগরের মেয়েদের কেউ সহজে বউ হিসেবে নিতে চায় না। কারণ, সারা রাত এরা ঘুরাফিরা করে। বাট আমি চাই না যে আমাদের যারা এত ভালো ভালো স্টুডেন্ট, তারা এখানকার সুন্দর সুন্দর ডিপার্টমেন্টগুলো থেকে পড়ে বিখ্যাত শিক্ষকদের সাহচর্য পেয়ে গ্র্যাজুয়েট হয়, তাদের ওপর এ রকম একটা কালিমা লেপুক।
শাবিপ্রবি উপাচার্য আরও বলেন, ওই জায়গাটা কেউ চায় না, কোনো গার্জিয়ান চায় না কিন্তু। এখন, আমরা যদি কাউকে বলি তোমার বাবা-মা কাউকে ফোন করবো। তখন তোমরাই তো এটা বাধা দিয়ে বলবা, না না না এইটা হবে না, দেখ হয়রানি করতেছে। এটা তো প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব, তোমাদেরও নৈতিক দায়িত্ব যে এই মেয়ে কেন রাতের বেলা সোয়া দশটা পর্যন্ত স্যাররে সময় দিছে।
অডিও ক্লিপটিতে উপাচার্যকে আরও বলতে শোনা যায়, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশে সোয়া দশটা পর্যন্ত মেয়েরা অফিসে থাকতে পারে না। তারপরেও আমরা সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু তোমরা কেন বল না যে…কী তুমি একদিন রাস্তায় বের হও..তোমরা, এটা বল যে তুমি বারোটা-একটায় কী করতেছ? দুইটার সময় কী করতেছ? আমি মাঝে মাঝে ঢাকা থেকে যখন আসি রাতে বারোটা-একটা বেজে যায়। আমি দেখি যে আমাদের ওয়ান কিলোমিটার রাস্তা দিয়া ছেলেমেয়ে হাত ধরাধরি করে কনসালটিং করতেছে। একটা অঘটন ঘটলে কিন্তু দায়দায়িত্ব ভাইস চ্যান্সেলরকে নিতে হবে। যত দোষ, নন্দ ঘোষ। ভাইস চ্যান্সেলর দায়ী সে জন্য।।