বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: রংপুরে জিএম কাদেরের দেওয়া ৫ লাখ টাকা ভাগাভাগি নিয়ে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভীন আক্তার। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তিনি রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় এ অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসন আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়ে দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ৩০ ডিসেম্বর রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা জিএম কাদেরের সাথে দেখা করে তার পক্ষে প্রচারণার অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন।
এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর প্রেসক্লাব এলাকায় জিএম কাদেরের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। শুক্রবার রাতে নগরীর বেতপট্টিস্থ রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসে জিএম কাদেরের দেওয়া ৫ লাখ টাকা আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন কিছু নেতাদের মাঝে ভাগাভাগি করছিলেন এমন খবর পেয়ে মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পারভীন আক্তার মহিলা লীগের নেত্রীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে যান। এ সময় তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমত আরা বর্ণার কাছে জানতে পারেন মহিলা আওয়ামী লীগকে ১০ হাজার টাকা ভাগ দিতে চাচ্ছেন মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন। এ নিয়ে পারভীন আক্তার প্রতিবাদ করলে ডা. দেলোয়ার হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীদের ধাক্কাধাক্কি করে দলীয় কার্যালয় থেকে বের করে দেয় এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি দেখায়। এ ঘটনায় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পারভিন আক্তার মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় ডা. দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ দায়ের করেন।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পারভীন আক্তার বলেন, মহিলা আওয়ামী লীগ জিএম কাদেরের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে গেছে। টাকা ভাগাভাগির বিষয়ে আমি জানতে চাইলে ডা. দেলোয়ারের নির্দেশে তার কর্মী-সমর্থকরা আমাদের ধাক্কা মেরে দলীয় কার্যালয় থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনি খরচ বাবদ কিছু টাকা দিয়েছিল। মহিলা লীগের প্রাপ্য ১০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই টাকা নিয়ে একটু মনোমালিন্য হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) শাহ আলম বলেন, আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি।