মোঃ আব্দুল আউয়াল খান কেন্দুয়া, নেএকোনা : বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা বরাবর স্মরকলিপি প্রধান করা হয়।
মঙ্গলবার( ৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ১০ টি ইটভাটা মালিক এবং ইটভাটার কয়েক শতাধিক শ্রমিক মিলে
কেন্দুয়া পৌরশহরে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে জড়ো হয়।
পরবর্তীতে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইটভাটার মালিক দেলোয়ার হোসেন ভুঁইয়া দুলাল, তৌহিদ ভুইঁয়া, ফারুক আহম্মেদ, মো: মিজানুর রহমান, মো: বাদল মিয়া, খাইরুল ইসলাম, পরিমল সরকার, জুলহাস মিয়া, শহিদুল্লাহ ভুুুঞা।
এসময় তারা বলেন, কেন্দুয়া ইটভাটা মালিকগন বিগত ৩৫/৪০ বৎসর যাবৎ অনেক প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে ইটভাটার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। দেশের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ী সহ সকল অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহৃত ইট সরবরাহ করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি । দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সমতা রেখে আমরা ইটভাটার মালিকগণ বায়ুদূষণ রোধে সরকার নির্দেশিত আধুনিক প্রযুক্তির জিগজাগ ভাটা স্থাপন করি, যাহা জ্বালানী সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ও উপমহাদেশে টেকসই এবং সহজ প্রযুক্তি হিসাবে পরিচিত।
এই ইটভাটা শিল্পে কেন্দুয়া উপজেলা কয়েক হাজার
শ্রমিক কর্মরত আছে এবং কয়েক হাজার পরিবারের মানুষের রুটি রোজীর ব্যবস্থা আমরাই করেছি। ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে এই লোকগুলো বেকার হয়ে পড়বে এবং দেশে অপরাধ প্রবনতা চরম পযার্য়ে পৌঁছে যেতে পারে। এছাড়াও প্রায় প্রতিটি ইটভাটার বিপরীতে প্রায় ১ কোটি টাকার উপরে ব্যাংক ঋন রয়েছে। এই ভাটা সমূহ বন্ধ হয়ে গেলে সমূদয় ব্যাংক ঋন অনাদায়ী থেকে যাবে। ইটভাটার মালিকগণ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব দিয়ে থাকেন।
এসময় তারা আরো বলেন, জিগজ্যাগ ইটভাটায় কোন প্রকার হয়রানী বা মোবাইল কোর্ট করা যাবে না, এমন হলে আমরা ভ্যাট দেয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।
ঈদের পরে ঢাকায় মহাসমাবেশ এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান করার ঘোষণা দিয়ে বক্তারা বক্তব্য শেষ করেন।