বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক : আগামী ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।
যেখানে ঘরোয়া লিগে খেলা ক্রিকেটারদের পাশাপাশি থাকবেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটাররা। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে থাকবেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ আশরাফুলও।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে আমিনুল হক বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে ক্রিকেট একটি রূপ পেয়েছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে। এমসিসি ক্রিকেট দল ১৯৭৭ সালের ৭ জানুয়ারি তিনদিনের ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ সফর করে। ওই ম্যাচের মাধ্যমেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান আমিনুল। জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল এবং টুর্নামেন্ট কমিটিতে থাকা সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
তিনি আর বলেন, আমরা খেলাধুলাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চাই। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ক্রীড়াঙ্গনকে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিকরণ করেছে এবং সে কারণে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা আমাদের খেলাধুলা এবং ক্রিকেটের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনতে চাই।
২০টি দল নিয়ে দেশের ১০টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম পর্বের খেলা। বগুড়া ছাড়াও ফরিদপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট এবং ঢাকাও (সিটি ক্লাব গ্রাউন্ড) আছে ভেন্যুর তালিকায়। ১০ নভেম্বর বগুড়ায় শুরু হয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বের খেলা অন্যান্য ভেন্যুতে হবে ১৬ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর মধ্যে।
আর ১৬ জানুয়ারি শুরু হবে মূল পর্ব। প্রথম পর্ব শেষে মূল পর্বে উঠে আসা ১০ দলের সঙ্গে যোগ হবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ নামে আরও দুটি দল। দেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের দিন, আগামী ১৯ জানুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
টুর্নামেন্টের সদস্য সচিব দেবব্রত পাল বলেন, সাধারণত ৩৫ জন ক্রিকেটার নিয়ে একটি বিভাগীয় দল গঠিত হয় এবং ম্যাচ খেলার জন্য মাত্র ১৫ জন ক্রিকেটার পাওয়া যায়। বাকি ২০ জন ক্রিকেটার দলের সঙ্গে অনুশীলন করেন। আমরা টুর্নামেন্ট খেলার জন্য কোচ ও বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। যদি বিভাগীয় দল বা জাতীয় দল তাদের ডাকে, আমরা তাদের দ্রুতই ছেড়ে দেব।