জালালুর রহমান, মৌলভীবাজার : হাকালুকি হাওরের কৃষি জমি বর্ষা মৌসুমের আগেই তলিয়ে থাকে দুইবছর থেকে। স্বল্প বৃষ্টিতে পানি জমে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। একটি পক্ষ উজানে বাদ দেওয়ার ফলে কৃষি জমি গুরুত্বপূর্ণ হাওরটি। মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের গারা খাল ও মৃত আব্দুল খালিক চৌধুরী সাবেক চেয়ারম্যানের জাওর নামে পরিচিত আনুমানিক ১০০ হেক্টর বোরো কৃষি জমির বেহাল দশা দেখার যেনো কেউ নেই।
উজান থেকে বৃষ্টির পানি এসে বোরো ফসলি জমি ডুবিয়ে দেয় নতুন একটি নদী হওয়ার কারণে এই নদীর পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। গোড়কুরী বিলে পানি আসে ওই বিল থেকে পানি যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, গারা খালের দুপাশের অবস্থা এতই করুন যে, যা স্বচক্ষে না দেখলে অনুমান করা যাবে না।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় হাকালুকি হাওরের কৃষক আব্দুল খালিক, মস্তাকিন আহমদ, জয়নালের সাথে
তারা আক্ষেপের ভাষায় বলেন, আমাদের এই বোরো ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে থাকে চাষাবাদ করা খুব কষ্ট হয়। গাড়া খালের দুপাশে ফাগুন চৈত্র বৈশাখ মাস পর্যন্ত এই জায়গায় শুকনো থাকে। আমরা শুকনো যায়গায় ধানকাটি দুইবছর বছর যাবত বৃষ্টির পানি এসে ধান ডুবিয়ে দেয়।
আমাদের বোরোধান রক্ষা করতে হলে অচিরে একটি খাল খনন করে দিলে গোড়কুরী দিকে তবে আমাদের ধান রক্ষা হবে।
তা নাহলে বোরো ফসল করা সম্ভব হবে না। ইতিপূর্বে আমাদের অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে। আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আগামীতে চাষাবাদ বিলুপ্তির পথে। ওই-সময় অত্রাঞ্চলের গবাদিপশুর গু খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
এ সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন করেছে। এইটা আমরা স্বীকার করি। একটি খাল খনন করে দিলে আমাদের সব দুঃখ দুর হইয়া যাইব, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এ ব্যাপার জানতে চাইলে জুড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদুল আলম খাঁন এ প্রতিবেদক কে বলেন, এখানে যে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে আমরা অতি দ্রুত উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো বিস্তীর্ণ এলাকার ধান পানির নিচে নিমজ্জিত হয়ে আছে। ইউএনও মহোদয় এবং উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো।