বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হলো শুক্রবার। আর শুক্রবারের শ্রেষ্ঠ নামাজ হলো জুমা। জুমার নামাজের বিভিন্ন ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, জুমা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ দিবস। জুমা নামে পবিত্র কুরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা নাজিল হয়েছে। আল্লাহতালা জগৎ সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছেন এই দিনে।
একজন মুসলমান ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে নামাজ। আর তাই একজন মুসলমান হওয়ার প্রধান শর্ত হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। সপ্তাহের সেরা দিন শুক্রবার জোহরের নামাজের পরিবর্তে জুমার নামাজকে ফরজ করা হয়েছে। যা আমাদের জন্য মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার এক অন্যতম রহমত। তাই আমাদের মুসলমান হিসেবে জুমার নামাজ পড়া জরুরি।
যারা জুমার নামাজ হতে বিমুখ থেকে অন্য কাজ-কর্মে নিজেকে ব্যস্ত রাখে; আল্লাহ তায়ালাও তার দিক থেকে বিমুখ থাকেন। জুমার দিনের ফজিলত অনেক বেশি। আল্লাহ তায়ালা জগত সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন এদিনে। এদিনেই হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-কে জান্নাতে একত্র করেছিলেন এবং এদিনে মুসলিম উম্মাহ সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষে মসজিদে একত্র হয় বলে দিনটাকে ইয়াওমুল জুমআ বা জুমার দিন বলা হয়।
প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা বিনা ওজরে ও ইচ্ছা করে ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তায়ালা ওই ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ) আর এরপর তারা আত্মভোলা হয়ে যাবে। অতঃপর সংশোধন লাভের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়ে যাবে। (মুসলিম)।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)
তবে অপর এক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেছেন, চার শ্রেণির লোক ব্যতীত জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। চার শ্রেণির লোক হলো- ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, মুসাফির ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবু দাউদ)