আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার কট্টরপন্থী ইসরায়েলিদের মিছিলে মহানবী (সা.) কে অপমানের প্রতিবাদে আল আকসা মসজিদ থেকে জুম্মার নামাজের পর ফিলিস্তিনিরা একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে। ফিলিস্তিনিরা আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে জড়ো হয়। পুরনো শহরের দামেস্ক গেট থেকে মিছিল শুরু করার আগেই বাব আল-সিলসিলা নামক একটি প্রবেশপথে ইসরায়েলি পুলিশ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস, স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে মসজিদের প্রাঙ্গন থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দেয়।
খবরে আরও বলা হয়, কট্টরপন্থী ইসরায়েলিদের মিছিলের প্রতিবাদেই এই মিছিলের আয়োজন করে ফিলিস্তিনিরা। হামলায় লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই’র সাংবাদিক লাতিফেহ আবদেলাতিফ আহত হন। তার দিকে রাবার বুলেট ছোঁড়া হয়েছিল। মিডল ইস্ট আই এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে গত মাসে ১১ দিনের লড়াই শেষে মেনে নেয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার গাজা সিটির উত্তরপশ্চিম এবং বেইত লাহিয়ার উত্তরে বেশ কয়েকটি স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইহুদি রাষ্ট্রটি।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি বাহিনী ইসরায়েল লক্ষ্য করে বেলুন ছোঁড়ে। এতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের আটটি স্থানে আগুন ধরে যায়। জবাবে ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে আবারও হামলা চালিয়েছে তারা।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থান (হামাসের ভবন) লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। খান ইউনিস এবং গাজা শহরেই এসব হামলা চালানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান আভিভ কোহাভি। হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে আইডিএফ হামলা চালিয়ে যাবে এবং এর জন্য দায়ী থাকবে হামাস।
এর আগে গত মাসে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা ১১ দিন হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। এতে নারী-শিশুসহ আড়াই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। হামাসের হামলায় ১৩ ইসরায়েলি নাগরিকও নিহত হয়েছেন।