বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
রায়ে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল জিয়াসহ ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিদের মধ্যে গ্রেফতার চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পলাতক রয়েছেন উগ্রবাদী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত জিয়াসহ চারজন।
উল্লেখ্য, মামলার তদন্তকালে হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ১৩ জনের সম্পৃক্ততা পায় সিটিটিসি। ঘটনায় সম্পৃক্ত অপর পাঁচজন আসামির শুধু সাংগঠনিক নাম জানা যায়, পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় আটজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের অদূর ভবিষ্যতে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হবে। অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেফতার চারজন আদালতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামিদের জবানবন্দী এবং অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে জানা যায়, ঘটনার সাথে জড়িত আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন পর্যায়ের সক্রিয় সদস্য। সংগঠনের নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত) নির্দেশে সংগঠনের সামরিক শাখার সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটায়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর ৩৫ নম্বর উত্তর ধানমন্ডি ঠিকানায় ইউএস এইড ঢাকার অফিসে কর্মরত জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয়কে সন্ত্রাসীরা নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। প্রথমে ডিএমপির ডিবি মামলাটি তদন্ত করে। পরবর্তীতে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম বিভাগ তদন্ত করে।