বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ লড়াই করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে কুমিল্লার পাহাড় পাড়ি দেওয়া সম্ভব হয়নি। মঈন আলির হ্যাটট্রিকে চট্টগ্রাম থেমেছে ১৬৬ রানে। ফলে ৭৩ রানের বড় জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে কুমিল্লা।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করেছে কুমিল্লা। যা বিপিএল ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড। এর আগে ২০১৯ সালের বিপিএলে রংপুর রাইডার্সও ২৩৯ রান করেছিল। ভিক্টোরিয়ান্সদের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৭ রান করেছেন জ্যাক। ফিফটি পেয়েছেন লিটন ও মঈন আলী।
জবাবে খেলতে নেমে ১৬ ওভার ৩ বলে ১৬৬ রানে অলআউট হয়েছে চট্টগ্রাম। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ বলে ৪১ রান করেছেন তানজিদ তামিম। তাছাড়া ৩৬ রান করে করেছেন সৈকত আলী ও জশ ব্রাউন। কুমিল্লার হয়ে হ্যাটট্রিকসহ ২৩ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন মঈন।
২৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল চট্টগ্রাম। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও জশ ব্রাউনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৮০ রান তুলে চট্টগ্রাম। ২৪ বলে ৪১ রান করে তামিম ফিরলে ভাঙ্গে এই জুটি। আরেক ওপেনার ব্রাউন করেছেন ৩৬ রান।
এই দুজনের বিদায়ের পর পথ হারায় দল। মিডল অর্ডারে সৈকত আলী ছাড়া আর কেউই বলার মতো কোনো রান করতে পারেনি। সৈকতের ১১ বলে ৩৬ রানের ইনিংস কেবলই ব্যবধান কমিয়েছে। ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারেনি। কুমিল্লার হয়ে ২৩ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করে সেরা বোলার মঈন।
এর আগে কুমিল্লার ইনিংসের প্রথম ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ে মেইডেন পেয়েছিলেন নিহাদুজ্জামান। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন কুমিল্লার ব্যাটাররা। বিশেষ করে লিটন এদিন ঝোড়ো শুরু করেন। ২৬ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক।
৩১ বলে ৬০ রান করে লিটন সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৮৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটার গোল্ডেন ডাক খেয়েছেন। চারে নেমে দ্রুত ফিরেছেন ব্রুক গেস্টও।
২৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারালেও তাদের রান রেটে প্রভাব পড়েনি। কারণ অপর প্রান্তে আক্রমণাত্মক ছিলেন জ্যাক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মঈন আলীকে সঙ্গে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ১২৮ রানের জুটি গড়েন জ্যাক। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে অপরাজিত ১০৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন এই ওপেনার। আর মঈন অপরাজিত ছিলেন ২৪ বলে ৫৩ রান করে।
চট্টগ্রামের প্রায় সব বোলারই এদিন খরুচে ছিলেন। বিশেষ করে আল আমিন হোসেন দুই হাতে রান বিলিয়েছেন। ৪ ওভারে ৬৯ রান দিয়েছেন এই পেসার। ৪৯ রানে ২ উইকেট শিকার করে দলের সেরা বোলার শহিদুল ইসলাম।