বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ঝগড়া-বিবাদ, অতিরিক্ত বাগবিতণ্ডা মানুষকে সর্বমহলে নিন্দিত করে। এই অভ্যাসগুলো মানুষকে আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় করে তোলে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা মন্দ সেই লোক, যে সর্বাপেক্ষা বাগবিতণ্ডাকারী। (মুসলিম, হাদিস : ৬৬৭৩)
এ জন্য সব বিষয় নিয়ে খুব বেশি বাড়াবাড়ি করতে নেই।
নিজেকে জাহির করার জন্য কথায় কথায় ঝগড়া-বিবাদ বা বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে যেতে নেই। এগুলোর কারণে মানুষ হিদায়াতের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়। আবু উমামাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো সম্প্র্রদায় হিদায়াতের রাস্তা পেয়ে আবার পথভোলা হয়ে থাকলে তা শুধু তাদের বিবাদ ও বাগবিতণ্ডায় জড়িত হওয়ার কারণেই হয়েছে। তারপর তিনি এ আয়াত পাঠ করেন (অনুবাদ)—‘এরা শুধু বাগবিতণ্ডার উদ্দেশ্যেই আপনাকে এ কথা বলে। বস্তুত এরা তো এক ঝগড়াটে সম্প্রদায়। ’ [সুরা : জুখরুফ : ৫৮]। (তিরমিজি, হাদিস : ৩২৫৩)
ঝগড়া-বিবাদ উম্মতের জন্য এতটাই ক্ষতিকর যে এর কারণে মহান আল্লাহ উম্মতের জন্য লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট তারিখের জ্ঞান দুনিয়ায় পাঠিয়েও আবার তুলে নিয়েছেন। উবাদাহ ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানানোর জন্য বের হলেন।
তখন দুজন মুসলমান বিবাদ করছিল। তিনি বলেন, আমি তোমাদের লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানানোর জন্য বেরিয়েছিলাম; কিন্তু তখন অমুক অমুক বিবাদে লিপ্ত থাকায় তা (লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কিত জ্ঞান) উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর হয়তো বা এটাই তোমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে। তোমরা তা অনুসন্ধান করো (রমজানের) ২৭, ২৯ ও ২৫তম রাতে। (বুখারি, হাদিস : ৪৯)
তাই প্রত্যেক মুমিনের জন্য আবশ্যক ঝগড়া-বিবাদ এড়িয়ে চলা। বাগবিতণ্ডায় জড়ানোর অভ্যাস ত্যাগ করা। মহান আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন। আমিন।