বুধবার (২ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আদর্শপাড়ার মহিলা কলেজপাড়া থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত টিকটক ও লাইকি মডেল তুলি শহরের পবহাটি গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের মেয়ে ও মডেল আশিকুর রহমান আদর্শ পাড়ার তৌফিকুর রহমানের ছেলে। আশিকুরের বাড়িতে স্ত্রী রয়েছে বলে জানা যায়।
আটক তুলি ও আশিকুর টিকটক-লাইকিতে মডেলিংয়ের ভিডিও শেয়ার করতো।
ঝিনাইদহ সদর থানার উপ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, রাতে আদর্শপাড়ার মহিলা কলেজ এলাকা থেকে আপত্তিকর অবস্থায় তাদেরকে আটক করা হয়। ব্যভিচার ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অপরাধে মামলা দিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বুধবার রাতেই পুলিশ তুলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে তুলে বলেছেন, এই বাসায় প্রতিদিন আমার বান্ধবীরা এসে ইয়াবা সেবন করে এ বিষয়টি আমি জানতাম না। বুধবার রাতে বাসায় আসার পরে বান্ধবীরা তাকে জানায়।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি একটি ভিডিও দেখে টিকটক-লাইকি মডেল তুলি সম্পর্কে বিভিন্নজন বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এছাড়া ঝিনাইদহে পরিচিত অনেকেই মডেল তুলির বেপরোয়া চলাফেরা ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে আপত্তিকর অভিযোগ করেছেন।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. আনোয়ার সাঈদ বলেন, জেলা শহরে একটি চক্র উঠতি তরুণ-তরুণীদের টিকটক-লাইকির ফাঁদে ফেলে অসামাজিক কাজে বাধ্য করছে। তারা মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায় জড়িত হচ্ছে। অশ্লীল ও আপত্তিকর টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভ ভিডিও সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ও যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
এ চক্রের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ পুলিশ কাজ করছে বলে তিনি জানান।