1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বীরগঞ্জে বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে শাহ্সুফি সৈয়দ মছিহ্ উল্লাহ্ (কঃ) মির্জাপুরীর ওরশ শরীফ সম্পন্ন বগুড়ায় প্রেমিকা হত্যার দায়ে আসামি হাবিবর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে যমুনা রেল সেতুর শুভ উদ্বোধন: রেল যোগাযোগে নতুন যুগের সূচনা রাজধানীর মিরপুরে যুবদল নেতা সাজ্জাদুল মিরাজের শাড়ী ও লুঙ্গি বিতরণ যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন : ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন “বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউজ ক্লাব ও বাংলাদেশ ভুমিহীন ও গৃহহীন হাউজিং লিঃ এর যৌথ উদ্দোগে “ইফতার দোয়া মাহফিল  মাদ্রাসায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি আব্দুল গফুর মনোহরদী থানা পুলিশ কর্তৃক ২টি বিদেশী পিস্তল,তাজাগুলি উদ্ধারসহ ২জন অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে ২০০০ মানুষের গণ ইফতার প্রতিদিন শরিক হতে পারেন যে কেউ

টান টান উত্তেজনা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩
  • ১১৪ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: রাজধানীতে দুই দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিতে চায় না পুলিশ। তাদের গোলাপবাগ মাঠে পাঠাতে চায় সরকার। এ জন্য গতকাল সন্ধ্যা থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অদূরে দুই পাশে অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশিসংখ্যক পুলিশ জড়ো হয়। একই সাথে প্রস্তুত রাখা হয় জলকামান। তবে যেকোনোভাবেই হোক নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে অনড় বিএনপি। এ জন্য তাদের নেতাকর্মীদেরও সন্ধ্যার পর থেকেই নয়াপল্টনে জড়ো হতে দেখা যায়। তবে পুলিশের উপস্থিতি বাড়লে নেতাকর্মীরা আবার রাতেই কার্যালয় এলাকা থেকে সরে যান। এ দিকে রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে বিএনপি নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার ব্যাপারে অনড় থাকে। এ জন্য এক দিন পিছিয়ে শুক্রবার জুমার নামাজের পর নয়াপল্টনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

অন্য দিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম তিন সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের পাশেই বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতি নিলেও সেখানে তাদের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠে সমাবেশ করার প্রস্তাব দেয়ার পর মেনে নেয় তারা। তবে রাতে বিএনপি সমাবেশের দিন পরিবর্তন করায় বিএনপিকে অনুসরণ করে ২৭ জুলাইয়ের নির্ধারিত সমাবেশ এক দিন পিছিয়ে ২৮ জুলাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোও। শুক্রবার বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে তাদের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ পরিস্থিতিতে দুই বড় দলের সমাবেশ ঘিরে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। দেশ ক্রমেই সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতির দিকে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ১২ জুলাই ‘এক দফা’ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দেয় বিএনপি। সেটির প্রথম কর্মসূচি ছিল ১৮ ও ১৯ জুলাই। এই দুই দিন দেশের সব মহানগর ও জেলা সদরে পদযাত্রা করে বিএনপি ও সমমনা জোটের দলগুলো। সরকার হটানোর আন্দোলনের যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় মহাসমাবেশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বিএনপি ছাড়াও যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেয়া গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, এলডিপি, লেবারপার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যসহ বিরোধী বিভিন্ন জোট নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে একই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। নয়াপল্টনে না পেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নানা দাবিতে অনেক দিন ধরেই কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। বিএনপির কর্মসূচির দিন পাল্টা কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।

এমন অবস্থায় সঙ্ঘাতের আশঙ্কা দেখা দেয়ায় ডিএমপির পক্ষ থেকে বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার ব্যাপারে অনড় রয়েছে বিএনপি। এ জন্য এক দিন পিছিয়ে শুক্রবার বেলা ২টায় নয়াপল্টনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একই সাথে তাদের জোট সঙ্গীরাও একই দিন সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।

অন্য দিকে এভাবে সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে পুলিশকে এ ধরনের কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। গতকাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সব রাজনৈতিক দলকে বলব আপনারা সমাবেশ করেন, কিন্তু জনগণকে কষ্ট না দিয়ে। হয়তো ভবিষ্যতে এমন সময় আসবে, জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে আমাদের বাধ্য হয়ে এসব কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হতে পারে। ডিএমপি কমিশনার জানান, বৃহস্পতিবার ঢাকায় সমাবেশ করার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৯টি দলের আবেদন পেয়েছেন তারা। পর্যালোচনা করে কয়েকটি পার্টিকে অনুমতি দেবো। যারা অনুমতি পাবেন, রাজনৈতিক সমাবেশ করা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ঢাকা মহানগর পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য। পুলিশ কমিশনার রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, ওয়ার্কিং ডেতে বিশাল বিশাল জনসভা করে লাখ লাখ লোককে রাস্তায় আটকে রাখার মতো বিষয়গুলো যেন তারা বিবেচনা করেন, তারা যেন ভবিষ্যতে ওয়ার্কিং ডেতে না দিয়ে বন্ধের দিনগুলোতে কর্মসূচি গ্রহণ করেন। আর রাজনৈতিক কর্মসূচি যাতে সহিংসতার দিকে না যায়, সে বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, যারা সমাবেশে আসবেন, তারা যেন লাঠি বা ব্যাগ না নিয়ে আসেন। বিস্ফোরণ বা সাবোটাজ ঘটানোর সুযোগ যেন না হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com