1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ন

ট্রলারে ভেসে আসা ১০ মরদেহের পরিচয় মিলেছে

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১০৩ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলারের কোল্ডস্টোরেজ থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ১০ জনের মরদেহ প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছেন তাদের স্বজনরা। তারা জানিয়েছেন, নিহতরা কক্সবাজারের মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা এরা।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, মহেশখালী ও চকরিয়া থেকে নিখোঁজ থাকা পরিবারের আত্মীয়স্বজনরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে এসে ১০ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন। তবে এ পরিচয় প্রাথমিক। নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ’র নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার পর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। এরপরই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নিহতদের স্বজনদের দেওয়া তথ্যমতে নিহতরা হলেন- মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম (২৩), শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহ (১৮), মুসা আলীর ছেলে ওসমাণ গনি (১৭), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির (২৮), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪), শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) ও চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া (২৫)।

মরদেহ শনাক্ত করতে আসা ওসমান গণির মা জোহরা বেগম জানিয়েছেন, পরিবারের কাউকে না বলে তার ছেলে ওসমান গণি সাগরে মাছ শিকারে যায়। কিন্তু কয়েকদিন পর তিনি জানতে পারেন ট্রলারটি জলদস্যুর কবলে পড়ে। এরপর তিনি তার সন্তানের কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না। পরে রবিবার (২৩ এপ্রিল) উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোতে তার সন্তান আছে কিনা দেখতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে গেলে শার্ট ও প্যান্ট দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের বাসিন্দা আলী আজগর বলেন, শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহ, মুসা আলীর ছেলে ওসমাণ গনি, সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ, মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ ও মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে সবাই নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজ এই ৬ জনই আমার আত্মীয়স্বজন। পরনে কাপড় দেখে এখন পর্যন্ত ৬ জনের পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছি।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, এরকম একটি খবর আমাদের কাছে ছিল যে ১০ থেকে ১২ দিন আগে কিছু লোক সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছে। কিন্তু তারা আর ফিরে আসেনি। যদিও এ সংক্রান্ত দাপ্তরিক কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। পরিচয় শনাক্তের পর এটি কোন ধরণের হত্যাকাণ্ড, কারা এটি ঘটিয়েছে বা কোথায় ঘটিয়েছে তা উদঘাটন করা হবে।

এদিকে, সোমবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১২ টার দিকে পুলিশের চট্টগ্রামের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিআইডির ডিআইজি হাবিবুর রহমান কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এসেছেন। ওই সময় হাসপাতালে থাকা স্বজনদের সাথে আলাপ করেন তারা।

এর আগে, গোট শনিবার রাতে লাশবাহী একটি ট্রলার ভেসে আসার খবর জানান জেলেরা। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে বোটটি দেখেন এবং মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে রোববার সকালের দিকে ফায়ার সার্ভিসের দলকে সঙ্গে নিয়ে মরদেহ উদ্ধারে যায় পুলিশ। সকাল থেকে চেষ্টা করে ট্রলারটি তীরে এনে কোল্ডস্টোর থেকে ১০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শহরের নাজিরারটেক এলাকায় সাগরতীরে চলা মরদেহ উদ্ধার অভিযান বিকেল ৫টায় সমাপ্ত ঘোষণা করেন ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা।

স্থানীয়দের মতে, ১৫-১৬ দিন আগে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া পয়েন্টে ডাকাতি করতে গিয়ে একদল জলদস্যু জেলেদের হামলার শিকার হয়। এ সময় জলদস্যুরা মারা পড়েছিল বলে খবর বেরিয়েছিল। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত ওই দস্যুবাহিনীর ট্রলারের হদিস পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে নিহতরা মহেশখালী ও চকরিয়ার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন তাদের স্বজনরা। এরা জেলে বলেও দাবি উঠেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com